দিলীপ-মুকুলের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পিকে-র চাল ভেস্তে দিলেন কৈলাশ, অ্যাডভান্টেজ এখন বিজেপির
দিলীপ-মুকুলের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পিকে-র চাল ভেস্তে দিলেন কৈলাশ, অ্যাডভান্টেজ বিজেপি
দিলীপ-মুকুলের মধ্যে যে মতভেদ তৈরি হয়েছিল, তা তাঁদের জুটি-বাঁধার বার্তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে। কিন্তু এক বৈঠকেই সেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দিলেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এতদিন অভিযোগ করা হচ্ছিল প্রশান্ত কিশোর বিভিন্ন কৌশলে মুকুল-দিলীপের দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখেছিলেন। পিকে-র সেই চাল ভেস্তে দিলেন একা কৈলাশ!
প্রশান্ত কিশোরের চাল ভেস্তে দিলেন কৈলাশ!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রশান্ত কিশোর মুকুল রায়কে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে যে সমস্ত চাল চেলেছেন তাঁর টিম ও তৃণমূল নেতাদের একাংশকে দিয়ে, তাতে জল ঢেলে দিয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এক লহমায় তৃণমূলের গোলে বল ঠেলে ম্যাচ ১-১ করে দিয়েছেন তিনি।
মুকুল-দিলীপকে এক সুতোয় বাঁধলেন কৈলাশ
প্রশান্ত কিশোর এতদিন যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন বিজেপি চাপে পড়ে যাচ্ছিল। অমিত শাহের দূত হয়ে রাজ্যে এসে কৈলাশ দলে ‘প্রতিপক্ষ' হয়ে ওঠা মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষকে এক সুতোয় বাঁধলেন। উভয়েই সম্মত হলেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার। দিলীপের বাড়িতে গিয়ে পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকও করলেন মুকুল।
ইগোর লড়াই ভুলে হাত ধরলেন মুকুল-দিলীপ
মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, বিজেপিতে যোগ দিয়ে গুরুত্বের আসনে বসেছেন। আর দিলীপ ঘোষ খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উভয়ের ইগোর লড়াই শুরু হয়। ২০২১-এর আগে তা বেশি করে মাথাচাড়া দিয়েছিল। অবশেষে তাঁদের সখ্যতার সেতুবন্ধন হল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোট বাঁধলেন তাঁরা
দিলীপ-মুকুলের জোটে ফায়দা তুলবে বিজেপি
মিশন ২০২১-এ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন জিততে যাবতীয় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে মুকুল-দিলীপরা জোট বাঁধলেন। একজন সুদক্ষ ভোটকৌশলী এবং সংগঠক আর অন্যজন যথার্থ অর্থেই রাস্তায় নেমে রাজনীতি করা নেতা, তাঁর নিজের কথাতেই বুকে পা দিয়ে রাজনীতি করা লোক। উভয়ের জোট সুপারহিট হলে বাংলায় বিজেপির পায়ের তলায় মাটি শক্ত হবে বলাই যায়।
বরফ গলিয়ে জল করে দিলেন কৈলাশ
মুকুল রায়ের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা একই দিনে বৈঠক করেন। তারপরই বরফ গলে। উভয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার বার্তা দেন বিজেপির পতাকা নিয়ে। এবং মঙ্গলবার সেই ছবিও দেখা যায়। একইসঙ্গে পাশাপাশি বসে তাঁরা ২০২১-এর রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠক করেন।
লক্ষ্য একুশে, হাত ধরে চলবেন মুকুল-দিলীপ
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির বৈঠকের পর থেকেই মুকুল রায় ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দূরত্ব বাড়ে। তারপর দিলীপ ঘোষের কিছু কথা বঙ্গ বিজেপির মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দিলীপ ঘোষের একা পরিবর্তনের বার্তা, বুকে পা দিয়ে রাজনীতি করার কথা নিয়ে জলঘোলা হয়। আপাতত সেই যুদ্ধে বিরতি। এবার একইসঙ্গে পথ চলা শুরু মুকুল-দিলীপের।
দিলীপ ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকুল রায়
মুকুল রায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রসঙ্গে বলেন, "এটি সত্য নয়। এসবই কোনও একটা শ্রেণির রটনা। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ মহমারীর রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দিলীপদা আমাদের দলের সভাপতি। তিনি এমপি এবং একজন যোদ্ধা। আমি বিজেপির সঙ্গে আছি, কোথাও যাচ্ছি না।"
মুকুলদার প্রশংসা করে একতার বার্তা দিলীপের
দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি জানিয়েছেন, মুকুল রায়কে শংসাপত্র দেওয়ার তিনি কে! মুকুলদা বলেছেন যে তিনি বিজেপিতে রয়েছেন এবং তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। আমি লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি সভাপতি ছিলাম। তারপরে কোনও অভিযোগ নেই এবং আমরা বাংলায় বেশ কয়েকটি আসন জিতেছি। এর পরে আমাকে আবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমরা একসঙ্গেই তৃণমূলে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।
প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠলেন কৈলাশ
উল্লেখ্য, মুকুল রায় দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকার পিছনে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত রয়েছে বলে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল ছেড়ে আসা মুকুল অনুগামী বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, প্রশান্ত কিশোরের মদতেই নানা গুজব রটিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরির চেষ্টা চলছে। কৈলাশ সেই কৌশল ভেস্তে দিলেন অবশেষে।
প্রশান্ত
কিশোরের
কৌশলে
ঘুম
ছুটেছে
বিজেপির,
'সসেমিরা’
অবস্থা
তৃণমূল
কংগ্রেসেরও