ব্রিজ ভেঙে তিনজনের মৃত্যুতে শাস্তির দাবি! মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধনের দিনে মমতাকে নিশানা কৈলাশের
ব্রিজ ভেঙে তিনজনের মৃত্যুতে শাস্তির দাবি! মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধনের দিনে মমতাকে নিশানা কৈলাশের
মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধনের দিনেই সেই ব্রিজ নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (kailash vijayvarghiya)। ভেঙে পড়ার প্রায় দুইবছর তিন মাস পরে এদিন ব্রিজটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ
মাঝেরহাট ব্রিজ চালুর দাবিতে ২৬ নভেম্বর তারাতলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীও। সেই বিক্ষোভে পুলিশ ও বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল। পাল্টা লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। সেই সময় বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন রাজ্য সরকারই ব্রিজ তৈরি শেষ করার পর বাধ্যতামূলক শংসাপত্র দিতে পারেনি।
বিজেপির চাপেই ব্রিজের উদ্বোধন
এদিন মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে একাধিক টুইট করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির চাপে শেষ পর্যন্ত ব্রিজের উদ্বোধন হল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে কলকাতার একটা বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ যে যন্ত্রণা ভোগ করলেন, তা তাঁরা ভুলতে পারবেন না। পাশাপাশি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কটাক্ষ করে বলেন, ব্রিজ ভেঙে যে ক্ষতি ও মৃত্যু হয়েছিল তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই বিচলিত ছিলেন না।
প্রসঙ্গত এদিন ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে ব্রিজের অডিট হত না। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তারপর থেকে এই ব্রিজে নজরদারি করা হয়নি কেন।
পদত্যাগ করা উচিত ছিল পূর্তমন্ত্রীর
এদিন অপর এক টুইটে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হয়েছিল অবহেলার কারণে। যাঁদের দায়িত্ব ছিল, তাঁদের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়নি। অবহেলার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার এটাই সময় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮-তে ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজ। সেই ভাঙা ব্রিজের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল মিনিবাস, প্রাইভেট কার, অ্যাপ ক্যাব, বাইক। এই দুর্ঘটনায় প্রবীর কুমার দে, সৌমিন বাগ এবং গৌতম মণ্ডল নামে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা থেকে নয়জনকে এসএসকেএম-এ এবং ১০ জনকে সিএমআরআই-এ ভর্তি করেছিলেন।
নতুন ব্রিজটির নাম দেওয়া হয়েছে জয়হিন্দ সেতু। এটি তৈরি করতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩১১. ৭৬ কোটি টাকা । সেতুটির দৈর্ঘ ৬৩৬ মিটার, চওড়া ১৬ মিটার। আপাতত ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
মমতাই ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দুর বিকল্পের নাম! ২০২১-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ফাটল আরও চওড়া