'ভ্যাকসিন চোর' সরকার! 'প্রমাণ' দিয়ে মমতার অভিযোগের জবাব দিলেন কৈলাশ
জায়গায়, জায়গায় টিকাকরণের শুরুতেই তৃণমূল নেতাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনার কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি এদিন তৃণমূল সরকারকে ভ্যাকসিনম চোর বলেও আক্রমণ করেন। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি তথা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তৃণমূলকে চার চোর এবং ত্রিপল চোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন।


তালিকায় নাম তৃণমূল নেতাদের
শনিবার থেকে সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী মূলত ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পুরকর্মীরা প্রথমে এই টিকা পাবেন কিংবা নেবেন। কিন্তু শুক্রবারেই দেখা গিয়েছে, সেই তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রথম সামনে আসে আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিকাকরণের তালিকা। একেবারে শুরুতেই ছিল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর নাম। যদিও এই বিতর্ক দেখা দেওয়ায় সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, তিনি টিকা নিচ্ছেন না। তিনি জানান, আগে সাধারণ মানুষ টিকা নেবেন, তারপর তিনি টিকা নেবেন।

দিকে দিকে টিকা নিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা
যদিও শনিবার দিকে দিকে টিকা নিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, কাটোয়ার পুরপ্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও শনিবার টিকা নিয়েছেন ভাতারের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। এছাড়ার পূর্ব বর্ধমানের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা এবং জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদিকেও টিকা নিতে দেখা গিয়েছে। শনিবার টিকা নিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা উত্তর দাস। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন বিদায়ী বিধাননগর কর্পোরেশনের একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর।

আগে টিকে নেওয়ার সাফাই
আগে টিকা নেওয়া কিংবা তালিকায় নাম থাকা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। কেউ বলছেন, তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, সেই জন্যই হয়তো তালিকায় নাম ছিল। কেউ বলছেন, তালিকায় তাঁর নাম এসেছে, তাই তিনি টিকা নিতে গিয়েছেন। এব্যাপারে সরকারি আধিকারিকরাও অবশ্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, যেসব জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। তবে এইসব জনপ্রতিনিধিরা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য মানেই কোভিড ওয়ারিয়র কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু সাধারণ মানুষ। তবে সব তৃণমূল নেতাই বলছেন, টিকা দেওয়া নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপের পরেই সরব বিজেপি
শনিবারই টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার কম পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরেই সরব হয় বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়রদের জন্য ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। যদি তা তৃণমূল নেতারাই আগে নিয়ে নেন তাহলে তো কম পড়বেই। এরপরেই তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ভ্যাকসিন চোর সরকার বলে আক্রমণ করেন।
বিদ্রোহে ইতি টানতেই বিরাট পুরস্কার শতাব্দীকে, তৃণমূলের রদবদলে মিলল বড় পদ