মোদীর মতো মমতাকেও ‘জয় শ্রীরাম’-এ স্বাগত জনতার! কাদের প্রতি অবহেলা মুখ্যমন্ত্রীর, কটাক্ষে জবাব কৈলাশের
শনিবারের পরে রবিবারেও রাজনীতি সরগরম জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে। এদিন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (kailash vijayvarghiya) দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাজিকে (mamata banerjee) জয় শ্রীরাম বলে স্বাগত জানিয়েছিল দর্শকদের একাংশ। তিনি প্রশ্ন করেন এর মধ্যে এমন কী আছে যাতে ওনার মনে হল যে অপমান করা হয়েছে।

জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ
নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে কলকাতা. অনুষ্ঠান। এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া শুরু করেন দর্শকদের একাংশ। বক্তা হিসেবে সঞ্চালকদ্বয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতেই সেই ধ্বনি যেন আরও জোরে করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠানের ডেকে নিয়ে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। তাই তিনি অনুষ্ঠানে কোনও বক্তব্য রাখবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। ওই অনুষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজেপির নিশানা মমতাকে
জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে নেতাজির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ না দেওয়ার ঘটনার কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে খুশি করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে কৈলাশ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের নয় কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশের প্রতি সংবেদনশীল এবং তাঁদের প্রয়োজনের প্রতিই তিনি নজর দেন। এই ৩০ শতাংশ ভোটারকেই মমতা সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন বলেও কটাক্ষ করেন কৈলাশ। বাকি ৭০ শতাংশের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অবহেলা করেন বলেও আক্রমণ করেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রসঙ্গত রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা ৩০ শতাংশ।

জয় শ্রীরামেই স্বাগত মানুষের
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন জয় শ্রীরাম হল মানুষকে স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়া। মোদী সেখানে যাওয়ার পরেই উপস্থিত দর্শক জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রী নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো ছাড়ার সময়েও এই স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজেকে এই স্লোগানে অপমানিত বোধ করছেন, প্রশ্ন করেছেন কৈলাশ। জয় শ্রীরামের সঙ্গে তিনি ভারত মাতা কি জয় স্লোগানের কথাও উল্লেখ করেন। এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় গিয়েছিলেন জলপাইগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন।

মানুষ জবাব দেবে নির্বাচনে
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে মানুষ জবাব দিতে তৈরি হয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার দেশে চার রাজধানী তৈরি দাবি করেছিলেন। যা নিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন চার কিংবা চল্লিশের প্রশ্ন নেই. কদিন বাদে মমতার রাজধানী কলকাতায় থাকবে না।

৩০ শতাংশ মমতা পক্ষে হলে ৭০ শতাংশ বিজেপির! ভোট মেরুকরণের রাজনীতি বাংলায়