ভাইপোর গলা পর্যন্ত দুর্নীতি! জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাশে দাঁড়িয়ে কোন বার্তা কৈলাশের
কেন্দ্রের কাছ থেকে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের টাকা না নেওয়া নিয়ে পুরমন্ত্রীর প্রতি আসানসোলের প্রশাসকের ক্ষোভ। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাকে (abhishek banerjee) নিশানা করলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash vijayvarghiya)। তিনি বলেন, এখানে কোনও কিছু হতে গেলে মমতা অথবা ভাইপো বলেন, সেটা হবে কিনা।

সরকারের দুই কেন্দ্র বিন্দু
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন দমদম বিমানবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, সরকারের দুই কেন্দ্র বিন্দু রয়েছে। এক জায়গার ছবি খুব পরিষ্কার আর অপর জায়গায় গলা পর্যন্ত দুর্নীতি ডোবা ছবি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুব পরিষ্কার। কিন্তু তাঁর ভাইপো দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এই রাজ্যে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে তাঁকে কাটমানি দিতে হয়। সেই কারণে ভাইপোকে কমিশন না দিয়ে, কোনও মেয়র, কোনও মন্ত্রী উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারেন না।

প্রসঙ্গ নিরাপত্তা বৃদ্ধি
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পরে এরাজ্যে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেদিনের হামলায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের গাড়িও পাথরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপরেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে আদেশ এসেছে, সাধারণ গাড়িতে তিনি বসতে পারবেন না। সেই কারণেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি।

বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও অভিযোগ করেন, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে সাধারণ মানুষের জীবন সুরক্ষিত নয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কৈলাশের অভিযোগ প্রতিদিন তাঁদের একজন করে কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে এই রাজ্যে। আর এইসবই হচ্ছে মমতা ও ভাইপোর ইশারায়।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি ফিরহাদকে
রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিস্ফোরক চিঠি আসানসোলের পুরবোর্ডের প্রশাসকের। একইসঙ্গে এদিন তিনি আসানসোলের দুটি কলেজের পরিচালন বোর্ড থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন। এই ইস্তফার কারণ ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। আসানসোল স্মার্ট সিটির তালিকায় এলেও, রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দের টাকা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই কথা জানিয়েই তিনি চিঠি লিখেছেন পুরমন্ত্রী ফিররহাদ হাকিমকে। প্রসঙ্গত স্মার্ট সিটির তালিকাভুক্ত হলে সেই শহরের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ২ হাজার কোটি টাকা দেয়। বিষয়টি যে রাজনৈতিক, সেকথাও জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এর পাল্টা পিরহাদ হাকিম বলেছেন, কারও যাওয়ার থাকলে তিনি চলে যেতে পারেন।

অধিকারী গড়ে শুভেন্দুর সঙ্গে ত্রিদিবের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি! লাভ-ক্ষতির অঙ্কে জল্পনার পারদ তুঙ্গে