জেলে স্থান হবে মমতার পরিবারের সদস্যের! হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন কোন কোন অভিযোগ তুললেন কৈলাশ
জেলে স্থান হবে মমতার পরিবারের সদস্যের! হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন কোন কোন অভিযোগ তুললেন কৈলাশ
দিদি ভাবেন বাংলাটা তাঁর। কিন্তু এই বাংলা তাঁর মতো সবারই। এদিন পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvarghiya)। এদিনের সভা থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ফের একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করেন।
বহিরাগত প্রশ্নে আক্রমণ
এদিন পাথরপ্রতিমার সভা থেকে বহিরাগত প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। প্রসঙ্গত বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে সংগঠনের নেতাদের পাঠানো হয়েছে এই রাজ্যে। পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই আসছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। তৃণমূলের তরফে এঁদেরকেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই কথা বলেছেন। এদিনের সভা থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কি আপনারা বহিরাগত বলে মনে করেন। অমিত শাহ যিতিন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিলেন, তাঁকেও এই রাজ্যে বহিরাগত বলা হচ্ছে। আপনারা কি তাই মনে করেন। সম্মিলিত কণ্ঠে সবাই বলেন না। কৈলাশ আরও বলেন আপনারা কি শ্যামাপ্রসাদ আর মুকুল রায়ও কি বহিরাগত? সবাই বলেন না।
সোনার বাংলা গড়বেন মোদী
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূল সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা হয়নি। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন মোদী। তিনি বলেন, মমতাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই মুকুল রায় মমতাকে সরানোর শপথ করেছেন। আপনারা এটা করবেন তো? সবাই উত্তর দেন হ্যাঁ।
নাড্ডার ওপর আক্রমণ বরদাস্ত নয়
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ওপর আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, পাথর দিয়ে বাংলার কাউকে স্বাগত জানানো হয় না। তিনি আরও বলেন, বাংলার ভালোবাসায় সংস্কৃতি চলে, পাথর নয়।
নাম না করে নিশানা অভিষেককে
এদিন ফের একবার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি প্রশ্ন করেন, রাজ্যে কয়লা চোর, গরু পাচার, সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে কে দিচ্ছেন? তিনি বলেন, মমতা হলেন এই সরকারের মুখ। এদিন আবার ভাইপোর ২৫ লাখি চশমা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, হিরে বসানো চশমা কি খাটনির পয়সায় তৈরি করা। তিনি স্লোগান তোলেন, চার চোর সরকার, জনগণ বলে আর নেই দরকার। জনগণের কাছে তাঁর প্রশ্ন করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫ কেজি করে চাল পাঠিয়েছিল, সবাই পেয়েছিলেন কিনা। আম্ফান পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে পর্যবেক্ষণের পরে ১ হাজার কোটি টাকা এবং পরে আরও ১২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকায় ত্রিপলও পায়নি সাধারণ মানুষ। এরপরেই তিনি স্লোগান তোলেন ত্রিপল চোর সরকার, জনগণ বলে আর নেই দরকার।
অধীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! হঠাৎ কংগ্রেস অফিসে প্রবেশে জল্পনা