ব্যারাকপুরে মণীশের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কৈলাশ-মুকুলদের, রিপোর্ট যাবে নাড্ডার কাছে
টিটাগড়ের বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় আজ ব্যারাকপুরে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে মণীশএর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, সঞ্জয় সিং, জগন্নাথ সিং, শঙ্কুদেব পাণ্ডা। বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-র কাছে বিজেপির তরফে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আজ।

রবিবার খুন হন মণীশ শুক্ল
রবিবার রাত আটটা নাগাদ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গল্প করছিলেন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ভরতি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

শুরু হয় বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ
এরপরই শুরু হয় বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলই এই কাজ করেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, 'পুলিশের উপর কোনও বিশ্বাস নেই। কারণ থানার সামনে যেহেতু এই ঘটনা ঘটেছে, সেক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া দরকার।'

অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন মণীশ
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ টেনে বিজয়বর্গীয় বলেন, 'ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং অনেক আগে থেকেই দাবি করছেন, তাঁকে মারার জন্য এখানকার কমিশনার অনুজ বর্মা ও অ্যাডিশনাল কমিশনার অজয় ঠাকুরকে সুপারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' মণীশ শুক্ল অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন। অর্জুনের বিজেপিতে যোগদানের পর তিনিও তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।

ব্যারাকপুরে চলছে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বনধ
এদিকে দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে সকাল থেকে সুনসান ব্যারাকপুর। টিটাগড়, হালিশহর, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কাঁকিনাড়া ও কাঁচরাপাড়া-সহ ব্যারাকপুর লোকসভার প্রায় সর্বত্র বনধের প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাটে দু'চার জন দেখা গেলেও নেই কোনও যানবাহন। দোকান-বাজার খোলেনি। তবে বনধের আওতা থেকে জুটমিলকে বাদ রাখা হয়েছে। তাই, বনধে ব্যারাকপুর অচল হলেও জুটমিলে চালু রয়েছে উৎপাদন।
