বিজেপি জিতলে মমতাকে প্রতিদিন এই কাজটি করতেই হবে, উলুবেড়িয়ায় বিঁধলেন বিজয়বর্গীয়
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীদের লাথি মেরে বের করে দেওয়া হবে। এমনটাই হুমকি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীদের লাথি মেরে বের করে দেওয়া হবে। এমনটাই হুমকি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরু পাচার, জালনোট কারবারি ও অস্ত্রের কারবারিদের তোষণ করছেন।
অসমে বাঙালি তাড়ানো হচ্ছে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেখানকার সরকার। বিষয়টি নিয়ে অসত্য প্রচার করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের লাথি মেরে তাড়ানো হবে বলেও হাওড়ার সমাবেশ থেকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। সমাবেশে মুকুল রায় বলেন, অসম নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কিছুই জানেন না।
কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৭০ শতাংশ মানুষের কথা না ভেবে, ৩০ শতাংশ মানুষের কথা ভাবছেন। গরু পাচার, জালনোট কারবারি ও অস্ত্রের কারবারিদের তোষণ করছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম মল্লিকের সমর্থনে ফুলেশ্বরের সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে অনুপম মল্লিক জিতলে কিংবা হারলে দেশের রাজনীতিতে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু জিতলে অবশ্যই রাজ্যের রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিদিনই ব্রাহ্মণদের নিয়ে সম্মেলন, গীতাপাঠ এবং গরুদান করতে হবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
প্রসঙ্গত বোলপুরে ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণদের নিয়ে সম্মেলন করেছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে কে প্রকৃত হিন্দু, কিংবা গেরুয়া পোশাক পরা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত। বীরভূম কিংবা উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও ছিল একই রকমের সুর। হঠাৎ করে তৃণমূলের এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। তিনি বলেন, সাতবছরের শাসনকালে কেন আগে ব্রাহ্মণদের নিয়ে সম্মেলন করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদেরই তোষণ করছেন, যাঁরা তেহট্টের স্কুলে পুজো বন্ধ করে দিয়েছে।
উলুবেড়িয়ায় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, এই কেন্দ্রে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, সবাই সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে। কেননা সেখানকার ৩০ শতাংশ ভোট নিয়েই তারা চিন্তিত। এই দলগুলির ৭০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সমাবেশে মুকুল রায় বলেন, ২০১১ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি করেছেন মুকুল রায়।