দিলীপ ঘোষকে তো নয় সরানো হবে, আলোচনায় রাজ্য সভাপতি হিসেবে যাঁদের নাম নিয়ে জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikari) দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘ আলোচনা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। না দলের আলোচনার খবর বাইরে কোনওভাবেই আলোচনা করেননি শুভেন্দু অধিকারী।, বিশেষ করে সাংগঠনিক বিষয়। তবে রাজ্যে বিজেপি কর্
শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikari) দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘ আলোচনা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। না দলের আলোচনার খবর বাইরে কোনওভাবেই আলোচনা করেননি শুভেন্দু অধিকারী।, বিশেষ করে সাংগঠনিক বিষয়। তবে রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপরে হামলার বিষয়টি যে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, তা পরিষ্কার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। সেখানে উঠে আসছে একাধিক নাম।
শুভেন্দু অধিকারী
সোমবার রাতে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি যান। রাজ্যদলের অন্যতম শীর্ষ নেতার দিল্লি যাওয়ার খবর নাকি জানতেই পারেননি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজেই জানিয়েছিলেন সেকথা। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্য দলের সাংগঠনিক নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলবার এবং বুধবার শুভেন্দু অধিকারী কথা বলেছিলেন অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে। কেউই মনে করতে পারছেন বা গত সাতবছরে কোনও রাজ্য নেতাকে এভাবে ডেকে মোদী কথা বলেছেন। এই বৈঠকের পরেই অনেকেই বলতে থাকেন শুভেন্দু অধিকারীকেই পরবর্তী রাজ্য সভাপতি করতে চলেছে বিজেপি। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা রেখেই কাজ চালাতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অনির্বান গাঙ্গুলি
বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে জল্পনায় উঠে এসেছে অনির্বান গাঙ্গুলির নাম। তাঁকে দলের তরফে বোলপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেরই কাছের বলেই পরিচিত তিনি। বর্তমানে তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। দলের নীতি নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি নিয়ে থাকেন। ইতিহাস ও রাজনীতির ছাত্র অনির্বাণ গাঙ্গুলি বিজেপির বুদ্ধিজীবী মহলের অন্যতম মুখও বটে। যাঁরা দিল্লির অন্দরমহলের খবর যাঁরা রাথেন, তাঁরা বলেন, অমিত শাহের বাড়িতে যাঁর ফোন না করে চলে যেতে পারেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন অনির্বান গাঙ্গুলি। এছাড়াও তিনি শুভেন্দু অধিকারীরও খুব কাছে বলেই পরিচিত। তাঁর নাম নাকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেবে রেখেছে রাজ্য সভাপতি হিসেবে।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাত
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ। দলের তরুণ আদিবাসী এই নেতার নামও নাকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মাথায় রয়েছে রাজ্য সভাপতি হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে সাড়া জাগালেও, বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে রাজ্য সভাপতি করতে একটা বড় অংশের মানুষের কাছে বার্তাও দেওয়া যাবে বলে আলোচনায় নাকি উঠে এসেছে।
তাহলে দিলীপ ঘোষের কোন পদ
দিলীপ ঘোষ ছিলেন সংঘের প্রচারক। আন্দামানে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। তাঁর হাতেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই মুহূর্তে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁকে যদি রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরানোও হয়, তাহলে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। না হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বড় কোনও পদ দেওয়া হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের জন্য জারি হলুদ সতর্কতা, উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
Recommended Video