তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙনের ইঙ্গিত মমতাবালার অনুপস্থিতি! জ্যোতিপ্রিয়র বিস্ফোরক মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা
তবে কি লোকসভায় হেরে যাওয়ার পর মতুয়া মহাসঙ্ঘে সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব সত্যিই বেড়ে গিয়েছে। বুধবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্তব্যে চড়েছে জল্পনার পারদ। মতুয়া ভোট ভাগাভাগিতে বনগাঁয় হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। এখন মমতাবালা ঠাকুর সরে গেলে মতুয়া ভোটের কর্তৃত্ব হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়র
যদিও জ্যোতিপ্রিয় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কে এল কে এল না, তা নিয়ে কিছু যায় আসে না তৃণমূল কংগ্রেসের। মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গে ছিল, তৃণমূলের সঙ্গেই আছে। মতুয়া কোনও পরিবারের হতে পারে না। মতুয়ারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন, সঙ্গেই রয়েছেন আর সঙ্গেই থাকবেন।

বিতর্কের পাশাপাশি জল্পনা পারদও চড়ছে
মতুয়াদের ধরনায় আজও অনুপস্থিত মমতাবালা ঠাকুর। তার জেরেই বিতর্কের সূত্রপাত। মঙ্গলবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন অসুস্থতার জন্য আসেননি মমতাবালা ঠাকুর। বুধবার তিনি আসবেন। কিন্তু মমতাবালা তারপরও আসেননি এদিন। ফলে বিতর্কের পাশাপাশি জল্পনা পারদও চড়তে থাকে। তবে কি তিনি তৃণমূলের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতই দূরত্ব তৈরি করছেন?

দুদিনই অনুপস্থিত মতুয়া মহাসংঘের সর্বময় কর্ত্রী
এনআরসির প্রতিবাদে মতুয়া মহাসংঘের অবস্থান কর্মসূচি চলছে ধর্মতলায়। তৃণমূলের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে এই মহাসভায় দুদিনই অনুপস্থিত মতুয়া মহাসংঘের সর্বময় কর্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। তা থেকেই জল্পনার সূ্ত্রপাত

মমতাবালার অনুপস্থিতি জ্যোতিপ্রিয়র প্রথম দিনের ব্যাখ্যা
এদিন মমতাবালার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ব্যাখ্যা দেন, মমতাবালা খুব অসুস্থ। তাই আসতে পারেননি। মমতাবালাও তাঁর অসুস্থতার কথা মেনে নেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে বলে এই কর্মসূচি স্থির করা হয়নি। তাঁর এই স্পষ্ট কথা নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তর জলঘোলা।

দু-ভাগ হয়েছিল মতুয়ারা, এবার তৃণমূলেও ভেদাভেদ
বড়মার মৃত্যুর পরই মতুয়া মহাসংঘ কার্যত দু-ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একদিকে মমতাবালা ঠাকুর, অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর। অর্থাৎ একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। এই নিয়ে বিতর্ক ছিলই। এবার ধর্মতলার মহাসভায় তৃণমূলের সঙ্গেই দূরত্বের ছবি প্রকাশ পেল মমতাবালার। এটাই এখন গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে উঠেছে।