‘দল বদলে নিজেকে বিরাট ভাবছেন মুকুল রায়! মান নির্ধারণে সময়সীমা ২ তারিখ’
আর বেশি দেরি নেই, বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যে নির্বাচনটা আছে, তার ফলাফলটা শুধু বের হতে দিন। দেখবেন, মুকুল রায়ের শক্তি আসলে কতটা!
'মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে নিজেকে বিরাট মনে করছেন। সময় এলেই উনি বুঝতে পারবেন- উনি আসলে কী! আর বেশি দেরি নেই, বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যে নির্বাচনটা আছে, তার ফলাফলটা শুধু বের হতে দিন। দেখবেন, মুকুল রায়ের শক্তি আসলে কতটা!' রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এক হাত নেন মুকুল রায়কে।
[আরও পড়ুন:কারাগারে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি আদতে ফসকা গেরো! পগার পার তিন বাংলাদেশি বন্দি ]
জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, 'মুকুলবাবু তিনটি বুথ সামলাতে পারেননি। এখন ৬০ হাজার বুথের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। আগে ৬০ হাজার সংখ্যাটা ভাবুন। তারপর অন্য কিছু ভাববেন। অবশ্য তার আগে ২ তারিখের কথাটাও ভাববেন।'' খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, '২ তারিখ দুই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই উনি বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল।'
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যদের নিয়ে একটি মিলনোৎসবে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, 'বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নির্বাচন হচ্ছে। সেই নির্বাচনে কী প্রতিফলন হল, তা আগে দেখুন মুকুলবাবু। তারপর আপনি কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ-মালদহের দিকে তাকাবেন।' জ্যোতিপ্রিয়-র কথায়, 'মুকুল রায় যেটা বলেন, সেটা করেন না। আর যেটা করেন, সেটা বলেন না।'
মুকুল রায়ের দলবদলের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন নানা মন্তব্যে। কখনও মুকুল রায়কে, কখনও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুকে তিনি আক্রমণ করেছেন। আবার মুকুল রায়ও পাল্টা দিয়েছেন তাঁর কথার। তবে নোয়াপাড়া উপনির্বাচনের আগে দুই নেতার কথার লড়াই আবার অন্য মাত্রা পেতেই পারে।
শনিবারই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মুকুল রায় অভিযোগ করেন, 'এ রাজ্যে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হয় না। ২০১১-র আগেও আমি বলতে আসতাম, আর আজ এসেও একই দাবি করছি।' মানুষ ভোট দিতে পারলে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন জবাব দিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিন বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যদের মিলন উৎসবে হাজির হয়ে শীতবস্ত্র ও মানপত্র তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী। প্রায় দু-হাজার সদস্য এদিন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন হাবড়া পুরসভার চেয়ারকম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন:শীঘ্রই 'চাটনিদাদু'কে বাংলা-ছাড়া করবে বাংলার মানুষ, মুকুলকে শ্লেষে বিঁধলেন অভিষেক]