দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর চিকিৎসা প্রয়োজন! দরকার দিল্লির এইমসে ভর্তির, বললেন জ্যোতিপ্রিয়
দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর চিকিৎসা প্রয়োজন রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় একটি দলবদল কর্মসূচিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর চিকিৎসা প্রয়োজন রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় একটি দলবদল কর্মসূচিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সম্প্রতি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি বলেছেন, বদল চাই। বদলাও চাই। দিলীপকে ছাপিয়ে গিয়ে বিজেপির আর এক নেতা সায়ন্তন বসু থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সায়ন্তনের বিতর্কিত এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'ওঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব আছে। ওঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলব না। শুধু এটুকুই বলব, বাংলার সংস্কৃতিতে এসব চলবে না। কোনও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এমন কথা বলতে পারেন না।' সায়ন্তন সম্পর্কে আলাদা করে জ্যোতিপ্রিয় বিশেষ কিছু বলেননি।
কেবল বিজেপির দুই নেতাকে কটাক্ষ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ওঁরা অশিক্ষিত। ওদের দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করানো দরকার।'
এদিন গোবরডাঙা, গাইঘাটা, ঠাকুরনগর, চাঁদপাড়া ও বনগাঁ থেকে বেশ কিছু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। জ্যোতিপ্রিয়র দাবি, 'বিজেপির কয়েকজন নেতা-সহ মোট সাড়ে তিনশো কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে যোগদান করেছেন।' তারপরই তাঁর সংযোজন, 'আগামী ৩১ ডিসম্বরের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির দখলে থাকা সমস্ত পঞ্চায়েত তৃণমূল হয়ে যাবে। আমরা কাউকে জোর করে তৃণমূলে নেব না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হয়েই বিজেপির সব সদস্যরাই স্ব-ইচ্ছায় তূণমূলে যোগ দেবে। তার কারন একটাই, বিজেপির ফেক নিউজ ছড়ানোয় রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ দলের কর্মীরা। একদিকে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের যজ্ঞ চলছে তার অন্যদিকে বিজেপির কুৎসা,অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তাদের দলের নেতা,কর্মীরাই প্রতিদিনই তৃনমূলে যোগ দিচ্ছেন। আগামীতেও তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করবেন।