উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে যাদবপুরের স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনা রাজ্যপালের
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দাবি দাওয়া নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবে কয়েকদিন আগেই সায় দিয়েছিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ওরফে জুটা। এবার শনিবার রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করলেন জুটার প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়েও আলোচনা হয়। কেন্দ্র সরকারের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ কেন্দ্র বা সেন্টার অফ এমিনেন্স তকমা পাওয়া নিয়েও জোরদার আলোচনা চলে। জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা সঠিক সময়ে যাদবপুরকে অর্থ সাহায্য করছে না।
যদিও বৈঠকের পর এই প্রসঙ্গে পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “আচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় অর্থ প্রদানকারী সংস্থার নামের তালিকা দিতে বলেছেন তিনি। রাজ্যপাল নিজে সেই সব সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ পাওয়ার বিষয়ে তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন। ”
পাশাপাশি এরপরই উঠে আসে কয়েক মাস ধরে যাদবপুরের 'ইন্সটিটিউশন অফ এমিনেন্স’ বা উৎকর্ষ কেন্দ্র তকমা পাওয়াকে ঘিরে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কথা। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দড়ি টানাটানির কথাও সামনে আসে। যদিও গত মাসের ২১শে অক্টোবর যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকেও এই বিষয়ে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। যাদবপুরকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে দিল্লির হাজার কোটি দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বলা হচ্ছে, কেন্দ্র ও রাজ্যকে সমান ভাবে টাকার অংশীদারিত্ব নিতে হবে।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয় কাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন জুটার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ওই দিন রাতে বিজেপি-এবিভিপির যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়েও যাদবপুরের আচার্য তথা রাজ্যপালের অভিমত জানতে চাওয়া হয়। যদিও এরপর রাজ্যপাল স্পষ্টতই উল্লেখ করেন তিনি কোনও প্রকার ভাঙচুরের পক্ষে নন।