দু’বার টেট পাস করার পরও শংসাপত্র অমিল কেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ আদালতের
দু’বার টেট পাস করার পরও শংসাপত্র অমিল কেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ আদালতের
প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন দু'বার টেট পাস করার পরও শংসাপত্র দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও প্রার্থীকে টেট পরীক্ষায় একবা পাশ করলেই চলবে। বারবার পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীকালে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে।
কোনও টেট শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেয়ি পর্ষদ
অনেক চাকরিপ্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁরা ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে দুটো টেট পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিয়ম অনুয়ায়ী তাঁদেরকে নতুন করে টেট পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন এবং পাস করেছেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালে, তাঁদের কোনও টেট শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট নেই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁদের কোনও সার্টিফিকেট দেয়নি।
ধন্দ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে
অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যেহেতু তাঁদের কোনও শংসাপত্র দেয়নি, তাঁরা নতুন করে আবেদনও করতে পারছেন না। কারণ, বিগত পরীক্ষার নম্বর তাঁদের জানা নেই। ফলে আগের দুটো পরীক্ষার মধ্যে কোন পরীক্ষায় তাঁরা বেশ নম্বর পেয়েছেন, কোন নম্বরটা তারা দেবেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা
এই সমস্যার পড়ে সুমন্ত বিদ-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা বিষয়টি উত্থাপন করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তারপর মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মামলা করার অনুমতি দেন। এই মামলার শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর দটো নাগাদ হবে বলে জানান তিনি।
প্রাপ্ত নম্বর অবিলম্বে প্রকাশ করুক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
বিচারপতি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৭ টেট পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর অবিলম্বে প্রকাশ করুক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই মর্মে মামলাকারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে প্রয়োজনে পর্ষদ বৈঠক করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের আইনজীবীকে এই মর্মে বার্তা দিয়েছেন বিচারপতি।
টেটের নম্বর বিভাজন-সহ শংসাপত্র দেওয়া দরকার
সোমবার একই বিষয়ে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, শংসাপত্র পাননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। তিনিও বলেন, প্রতিটি টেটের নম্বর বিভাজন-সহ শংসাপত্র দেওয়া দরকার পর্ষদের। তাতে সবাই নিজের নিজের নম্বর জানতে পারবেন। দুর্নীতির হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। এই বিষয়টি অবিলম্বে বিবেচনা করা দরকার বলে আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন।
শংসাপত্র প্রদানের বিষয়টি ভেবে দেখুক পর্ষদ
একদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুনছি ভালো কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বদলাচ্ছে, তবে বদলাতে একটু সময় লাগবে। আমার বিশ্বাস একদিন ঠিকই সুনাম অর্জন করবে প্রাথমিক পর্ষদ। তাদের জট কাটতে সময় দিতে হবে। এখন পর্ষদ সভাপতি ও সম্পাদক ভালো কাজ করছেন। এরপর এদিন শংসাপত্র প্রদানের বিষয়টিও ভেবে দেখবেন বলে মনে করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
শুভেন্দু গড়ে কুণালকে বড় দায়িত্ব অভিষেকের! চোর বলেও তোপ বিরোধী দলনেতার