আম্ফানের পর এখন মমতাফান! শেষ দেখে ছাড়ব, দলীয় কর্মীদের বাড়ি ঘোরার পরে বিস্ফোরক জেপি নাড্ডা
রাজ্যে বিজেপি (bjp) কর্মীদের ওপরে হামলা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ইন্ধনেই। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)। দলের কর্মীদের ওপরে হামলায়
রাজ্যে বিজেপি (bjp) কর্মীদের ওপরে হামলা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ইন্ধনেই। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)। দলের কর্মীদের ওপরে হামলায় শেষ দেখে ছাড়বেন বলে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি।
মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি
মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। তাই এসব করছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপরে হামলা এবং হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা দাবি করেন, তৃণমূলের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, বিজেপির নয়। বিষয়টিকে বিজেপির রাজনৈতিক নাটক বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজের চেয়ারে ফিরে আসতে পেরে খুশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধনেই হামলা
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধনেই হামলা করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, সারা রাজ্যে ৮০ থেকে ১ লক্ষ লোক ঘর-ছাড়া। তৃণমূলের হামলায় তাঁদের দলের ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব থেকে গিয়েছেন।
মনে করাচ্ছে দেশভাগের দিন
জেপি নাড্ডা বলেন, যে ভাবে গণনার দিন থেকে হামলা চলছে, তা দেশভাগের দিনগুলির কথা মনে করাচ্ছে। তিনি বলেছেন, এইসব ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৪৬-এর ১৬ অগাস্টের ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র কথা। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় বলেছিলেন খেলা হবে। তা ২ মের দুপুর থেকে খেলা শুরু হয়েছে। রাজ্যে গণহত্যা চলছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি। বোঝা যাচ্ছে এইসব ঘটনায় তাঁর মদত রয়েছে। হামলার ঘটনায় বিজেপির যেমন তৃণমূলস্তরের কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে ঠিক তেমনই মহিলাদেরও টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেপি নাড্ডা।
আম্ফানের পর এখন মমতাফান
জেপি নাড্ডা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এইসব ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন। ইতিমধ্যেই তিনি বেলেঘাটা, জগদ্দল-সহ বেশ কয়েকজন মৃত দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়েছেন। এদিন তিনি সন্দেশখালি, গোসাবা, ক্যানিং-এর গ্রামগুলির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন এইসব জায়গায় এখন আম্ফানের পরে চলেছে মমতাফান। অনেকে গ্রাম ছেড়েছেন। আবার অনেকে রাজ্য ছেড়েছেন। তিনি বলেছেন জনাদেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলেও, মানবতা হেরেছে। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর দাবি করে বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে দল কর্মীদের পাশে আছে। এইসব হামলার ঘটনায় রাজ্যে মানবাধিকার কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গণনায় কারচুপির অভিযোগ এবার শুভেন্দুর, জানালেন ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা