শাসকদলের সঙ্গে না থাকলে মেলে না শিক্ষার সুযোগ! মমতার রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে নিশানা জেপি নাড্ডার
শাসকদলের সঙ্গে না থাকলে মেলে না শিক্ষার সুযোগ! মমতার রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে নিশানা জেপি নাড্ডার
২০২১-এর লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভার্চুয়াল সভা শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার অন্যতম বড় ভার্চুয়াল সভাটি করলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে হওয়া সেই সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিশানা করেন তিনি।
শিক্ষায় বাংলার স্থান নিচে নেমেছে
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে দিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, শিক্ষায় বাংলার স্থান অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ শাসকদলের সঙ্গে না থাকলে শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায় না।
কারণ রাজনৈতিক
বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা বলেন রাজনৈতিক কারণে এর স্তর নেমে দিয়েছে। যা বাংলার পক্ষে অসুবিধাজনক।
নিবেদিত থাকবে বিজেপি
জেপি নাড্ডা তাঁর ভাষণে বলেছেন, অতীতে যে স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল, সেই স্তরে তা পৌঁছে দিতে বিজেপিকে অবশ্যই নিবেদিত থাকতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গকে নতুন উচ্চতায় নিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দাবি করেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণে বলা হত, বাংলা আজ যা ভাবছে, ভারত কালকে ভাববে।
বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসা
ইংরেজিতে স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও দেশ ভক্তির জন্য স্নাতকোত্তরে তিনি বাংলা ভাষা নিয়েছিলেন। দেশভক্তি স্বরূপ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলাতে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। বলেছেন জেপি নাড্ডা। তিনি আরও বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কখনো কোন পদকে জোর দেননি , বিচারকে জোর দিয়েছিলেন। আজ যে বাংলা ভারতের অংশ সেটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জন্যই সম্ভবপর হয়েছে।
পদকে নয়, আদর্শকেই গুরুত্ব
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৪১ সালে অর্থমন্ত্রী হন, এবং ১৯৪২ সালে পদত্যাগ করেন। তিনি কখনোই পদকে নয়, আদর্শকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন। তিনি আদর্শের প্রতি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, নিজের ভাষণে এদিন উল্লেখ করেন জেপি নাড্ডা।
ভবিষ্যতে মোদীর ব্যর্থতার খতিয়ান পড়ানো হবে হার্ভার্ডেও, কটাক্ষ রাহুলের