তৃণমূল হোয়াইট ওয়াশ হবে ২০২১-এ! ভোটের আগে কত আসনের টার্গেট বিজেপির
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এতদিন বলে এসেছেন তৃণমূল উনিশে হাফ একুশে সাফ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সম্প্রতি বাংলায় এসে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তেমনই আভাস দিয়ে গেলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি কটি আসন চাইছেন। আর গোটা বাংলা থেকেই বা কত টার্গেট বিজেপির।

তৃণমূলকে হোয়াইট ওয়াশ করার বার্তা
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা। তার মধ্যে শুধু উত্তরবঙ্গ থেকে আটটির মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছে বিজেপি। তৃণমূল হোয়াইট ওয়াশ হয়ে গিয়েছে। এবারও তৃণমূলকে হোয়াইট ওয়াশ করার বার্তা দিলেন জেপি নাড্ডা।

মমতাকে শূন্যহাতে ফেরাতে হবে উত্তর থেকে
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দলের নেতাদের সাফ জানান, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি আসন চান। তৃণমূলকে কোনও আসন দেওয়া যাবে না। লোকসভার মতোই শূন্যহাতে ফেরাতে হবে উত্তর থেকে। তাহলে দক্ষিণবঙ্গ চাপে পড়ে যাবে তৃণমূল। ২০২১-এ সাফ হয়ে যাবে রাজ্যের শাসকদল।

উত্তরবঙ্গে কত আসনের টার্গেট বিজেপির
জেপি নাড্ডা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ৫০টি আসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলায় আমাদের লক্ষ্য থাকবে ২০০-র গণ্ডি টপকানো। এই টার্গেট নিয়েই আমরা এগোব। এজন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বিশেষ বৈঠকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন ২০২১-এর ভোটে ভালো ফল করার জন্য। সাত দফা টাস্ক দিয়ে যান নেতা-কর্মীদের জন্য।

বাংলায় কত আসন জয়ের লক্ষ্য বিজেপির
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা জানান, পুজোতে ঘরে বসে না থেকে তাই কাজ করতে হবে বিজেপিকর্মীদের। ২০০টিরও বেশি আসনে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এই টাস্ক তৈরি করা হয়েছে। জেপি নাড্ডা নির্দেশ দিয়েছেন এবার বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। তাই সময় নষ্ট করলে হবে না। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করা দরকার। এই মর্মে সাত দফা নির্দেশ দেন তিনি।

২০২১-এ জয়ের লক্ষ্যে সাত দফা নির্দেশ
• কনভেনরাদের রাত্রিবাস করতে হবে পাড়ায় ও মহল্লায়। জনসংযোগ বাড়াতে হবে।
• সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারে নামতে হবে। নির্ভুলভাবে প্রচার করতে হবে মানুষের কাছে।
• তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, কাটমানি, চিটফান্ডের অভিযোগগুলিকে ইস্যু করতে হবে প্রচারে।
• রাজ্যের সমস্ত বুথে পান্না প্রমুখ নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের নজরদারিতে রাখাতে হবে।
• কেন্দ্রের প্রকল্প যাঁরা গ্রহণ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে বেশি করে যোগাযোগ রাখতে হবে।
• সমস্ত বিধানসভায় অরাজনৈতিক সংগঠন যেমন ক্লাব-এনডিও ইত্যাদির সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে হবে।
• দলের মধ্যে কেউ বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
উৎসবের আবহে এসবিআই-এর গ্রাহকদের জন্য সুখবর, গৃহঋণে বড় ছাড়ের ঘোষণা