জিতেন্দ্রকে চাইছে না বিজেপি? শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা
বুধবারই কাঁকসায় সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের। সেই বৈঠকে ছিলেন আসানসোলের বেসুরো নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। এরপরই জল্পনা শুরু হয় জিতেন্দ্রের বিজেপি যোগের সম্ভাবনা নিয়ে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করতে শুরু করেন যে শুভেন্দুর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।

শুভেন্দু বিজেপিতে যাবেন
তবে এদিন জিতেন্দ্র শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতেই শুরু হয় জল্পনা। এদিন গত সন্ধ্যার বৈঠক সম্পর্কে জিতেন্দ্র বলেন, 'শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তিনি গতকাল বললেন। তবে আমি ওনার সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমি গিয়েছিলাম সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে। ওনার মা মারা গিয়েছেন। শুভেন্দুর সঙ্গে সেখানে কাকতালীয় ভাবে দেখা হয়ে যায়। তিনি নিজে বিজেপিতে গেলেও অন্য কাউকে স্বাগত জানাননি।

দিদি সময় দিলে দেখা করব
এরপর তাঁকে যখন মমতার সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি বলেন, 'আমি নিজে কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব। অবশ্যই যদি দিদি সময় দেন তহলে।' এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি জিতেন্দ্র বিজেপি, তৃণমূল দুই পথই খোলা রাখছেন? নাকি জিতেন্দ্র বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলেও বিজেপি তাঁকে চাইছে না।

জিতেন্দ্রকে দলে চাইছে না বিজেপি
উল্লেখ্য, গত দশ বছরে বিজেপি এবং আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই করে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এহেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সর চড়ানোয় সাধুবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে তাঁকে সেভাবে কেউই দলে স্বাগত জানাননি। এই পরিস্থিতিতে জিতেন্দ্র আবার মমতার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান।

বুধবারের বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা
উল্লেখ্য, বুধবার শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেওয়ার পরেই গাড়ি নিয়ে সোজা রওনা দেন বর্ধমান। বুধবার সন্ধায় কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, স্বপন বাউরি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা।

'ভাঙনকে' গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো
এদিকে নির্বাচনের আগে দলের 'ভাঙনকে' গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার তারই প্রতিফলন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের গলায়৷ 'তৃণমূল কংগ্রেস একটা সমুদ্র৷ আর সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে কোনও প্রভাব পড়ে না৷' যখন রাজ্যর প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে মাতামাতি করছে তখন এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম।

শুভেন্দু-জিতেন্দ্র সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা
করোনা পরিস্থিতির জেরে এখনও ঘোষণা করা যায়নি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ৷ তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একের পর এক তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বেসুরো হাওয়াতে তাল কাটছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। ঘর সামলাতে নেত্রী যখন উত্তরবঙ্গে, ঠিক তখনই বিধানসভায় এসে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কয়েক ঘণ্টা পরই শুভেন্দু-জিতেন্দ্রকে দেখা গিয়েছিল একই স্থানে।
শুভেন্দু ঝড়ে সংগঠনে ধস, 'দাদার' বিদায়ের পরই মালদা থেকে নিশ্চিহ্ন হবে তৃণমূল?