একই দিনে জোড়া ধাক্কা তৃণমূলে! শুভেন্দুর পর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিস্ফোরক জিতেন্দ্র তিওয়ারি
একই দিনে জোড়া ধাক্কা তৃণমূলে (trinamool congress)। শুভেন্দু অধিকারীর (suvenddu adhikari) দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দিনই দল ছাড়ার কথা জানিয়েদিলেন আসানসোলের পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari)। এদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি বিস্ফোরক হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।


প্রথমে ছেড়েছেন পুরপ্রশাসকের পদ
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন প্রথমে পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়েন। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যেই আসানসোলের পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আসানসোলের উন্নয়নের টাকা রাজ্য সরকার আ্রটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য সরকারের জন্যই স্মার্ট সিটি এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের টাকা পায়নি আসানসোল। যার জন্য তিনি ফিরহাদ হাকিমকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি এদিন, কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন আসানসোলে। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যের অন্য কর্পোরেশনে অভিযোগ উঠলেও, আসানসোলে কেউ বলতে পারবেন না আধিকারিক কিংবা কোনও কর্মী ঘুষ চেয়েছেন।

পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়ার পরেই বিধায়ক কার্যালয়ে হামলা
এদিন পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়ার পরেই পাণ্ডবেশ্বরে বিধায়কের অফিসে হামলা চলে। সেখানে ভাঙচুর করে পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেমপ্লেটও খুলে নেওয়া হয়। এব্যাপারে জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন কলকাতার নেতাদের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাণ্ডবেশ্বরের স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানকার জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরোধী গোষ্ঠীই এই হামলা চালিয়েছে। যদিও এব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ছেড়েছেন দলীয় সব পদ, দলের প্রাথমিক সদস্যপদের ইস্তফা
পাণ্ডবেশ্বরে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার খবর আসতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলীয় সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। দলের তরফে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদে তিনি ছিলেন।

মমতার পরে শুভেন্দুই সব থেকে বড় নেতা
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মমতার পরে শুভেন্দু অধিকারীই সব থেকে বড় নেতা। তিনি আরও বলেছেন, এখনই বিধায়ক পদে ইস্তফার কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। জনগণের সঙ্গে কথা বলেই তিনি এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করেন। কিন্তু তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপিতে যাচ্ছেন না তিনি। বলেছেন বিজেপিকে পছন্দ করেন না তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।