তপন কান্দু খুনের সময়ে কিছু দূরেই ছিল আরটি ভ্যান! সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। সম্প্রতি ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই মতো তদন্তও শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থ
কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। সম্প্রতি ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই মতো তদন্তও শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
তদন্ত নিয়েই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। এমনকি এসডিপিও'কেও জেরা করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ঘটনায় ক্লোজ হওয়া পাঁচ পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
দফায় দফায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে জেরা করা হয়। আর তাঁদের জেরা করতেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তপন কান্দু খুনের সময়ে একেবারে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই ছিল ঝালদা থানার আরটি ভ্যান। অভিযোগ, গুলি চলার খবর পান কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। আর তা পাওয়ার পরেও সেখানে পুলিশ কর্মীরা যায়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তদন্তে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, ওই আরটি ভ্যানে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে দ্রুত যাওয়ার কথা নাকি এসআইকে জানান। কিন্তু এসআই নাকি সেখানে কাউকে যেতে দেয়নি বলেও মারাত্মক তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। বলে রাখা প্রয়োজন, তপন কান্দু খুনের ঘটনার পরেই পরিবারের তরফে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়।
স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পিছনে পুলিশের বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি ঝালদা থানার আইসি'র বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ করেন তপন কান্দুর পরিবার। এবং ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে করানোর কথাও বলা হয়।
যদিও শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। যদিও এহেন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন রাজ্য সরকার। যদিও মামলা এখনও শুনানির জন্যে আসেনি। কিন্তু সিবিআই তদন্ত পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে। আর সেই তদন্তের শুরুতেই তপন কান্দুকে যেখানে খুন করা হয় সেই জায়গা ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা।
এমনকি বেশ কয়েকজনকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্যও তদন্তকারীরা পেয়েছেন। কথা বলেছেন পুর্নিমা কান্দু সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের সঙ্গেও। আর এর মধ্যেই ওই ক্লোজ হওয়া পাঁচ পুলিশকর্মীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে, ঝালদা খুনের তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করবে সিবিআই। আর এজন্য CFSL-এর সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। ঘটনার সূত্রে পৌঁছতে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। উল্লেখ্য, এই ঘটনা সম্পূর্ণ পারিবারিক বলে দাবি করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। এমনকি আইসিকেও ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এহেন তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।