ভদ্রেশ্বরে জেটি দুর্ঘটনার জের : বন্ধ হচ্ছে হুগলির ঘাট, ভুটভুটিতেও নিষেধাজ্ঞা
হুগলির ভদ্রেশ্বরে তেলেনিপাড়া ঘাটের জেটি ভেঙে দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে গেল হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় জলপথ পরিবহণ। বাঁশের জেটি ব্যবহার করে পরিবহণ পরিষেবা চালানো যাবে না। বন্ধ হচ্ছে ভুটভুটিও।
কলকাতা ও হুগলি, ২৮ এপ্রিল : হুগলির ভদ্রেশ্বরে তেলেনিপাড়া ঘাটের জেটি ভেঙে দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে গেল হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় জলপথ পরিবহণ। নবান্নে বৈঠক শেষে পরিবহণ দফতরের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয় কোনও বাঁশের সাঁকোতে জেটি হিসেবে ব্যবহার করে পরিবহণ পরিষেবা চালানো যাবে না। হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার ঘাটগুলিতে নতুন জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সচিব। আপাত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।
নবান্নের তরফে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভুটভুটি সরিয়ে দেওয়া হবে গঙ্গাবক্ষ থেকে। বেআইনি ভুটভুটি চলাচলও বন্ধ করে গঙ্গায় নিরাপদ নৌকা চালানো হবে। সমস্ত জেলা শাসককে বলা হয়েছে অস্থায়ী সমস্ত জেটি গঙ্গাবক্ষ থেকে সরিয়ে দিতে। গঠন করা হয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি।
তারা গঙ্গার ঘাটগুলি সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে ভদ্রেশ্বরের বাবুঘাট, তেলেনিপাড়া ঘাট, চন্দননগরের গৌরহাটি ঘাট ও চাঁপদানির পলতা ঘাট। হুগলির দিকের ঘাটগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, উত্তর ২৪ পরগনার ঘাটগুলিতেও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ।
এদিকে তেলেনিপাড়া ঘাটে জেটি বানে ভেসে যাওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। শুক্রবার আরও আটটি দেহ উদ্ধার হয়েছে তেলেনিপাড়া সংলগ্ন গঙ্গা থেকে। বুধবার ঘটনার অদ্যাবধি পরেই তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপর দফায় দফায় আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। এদিন দফায় দফায় উদ্ধার করা হয় আটটি দেহ। এই ঘটনায় এখনও ১০ জন নিখোঁজ।
এদিকে দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরিবহণ দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল ঘাটগুলি পরিদর্শনে আসে। বাঁশের জেটিতে জলপথ পরিবহণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে জানান, বেহাল ঘাটগুলি সংস্কার করা হবে শীঘ্রই।