লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসে ভাঙন, গনি-গড়ে জেলা পরিষদ সদস্যের তৃণমূলে যোগ
কংগ্রেসের গড়ে ফের ভাঙন ধরাল তৃণমূল। এবার মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। আগে বিজেপি থেকে তিন চার সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে।
কংগ্রেসের গড়ে ফের ভাঙন ধরাল তৃণমূল। এবার মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। আগে বিজেপি থেকে তিন চার সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় জেলা পরিষদে যেমন শক্তি বৃদ্ধি হল, লোকসভার আগেও শক্তি বাড়ল তৃণমূলের।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে
লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য বন্দনা ঘোষ যোগ দিলেন মৌসম বেনজির নূরের শিবিরেই। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলবদল করলেন বন্দনা দেবী। এর ফলে গনি-গড়ে জাঁকিয়ে বসার রসদ পেল তৃণমূল।
পাখির চোখ মালদহ
এবার মালদহের দুই কেন্দ্রই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে মালদহ উত্তর আসনটি এবার কংগ্রেসের কাছ থেকে তাঁরা ছিনিয়ে নেবেন বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মৌসম বেনজির নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে লড়াই ভাই-বোনের। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মৌসমের দাদা ইশা খান চৌধুরী।
[আরও পড়ুন:আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র : ২০১৯-এর নিরিখে ফিরে দেখা ভোটের ইতিহাস ]
জেলা পরিষদে শক্তিবৃদ্ধি
এদিকে বন্দনা ঘোষ তৃণমূলে যোগদানের পর ৩৮ আসন বিশিষ্ট জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয়ে গেল ৩৪। কংগ্রেসের ১ ও বিজেপির ২। বাকি আসনটি ফাঁকা রয়েছে। এর আগে বিজেপির চারজন যোগ দেন তৃণমূলে। নির্বাচনে বিজেপির ৬ জন ও কংগ্রেসের দুজন জয়ী হয়েছিলেন। আর তৃণমূল জিতেছিল ২৯টিতে।
উন্নয়নের কাজ করতেই তৃণমূলে
তৃণমূলে যোগ দিয়ে বন্দনা ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য হয়েও উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কোনও সাহায্য পাইনি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মানুষের পাশে থাকতে চাই।