JEE , NEET ২০২০: সেন্টারে পৌঁছনোর গাড়িভাড়া আকাশচুম্বী!দরের দাপটে রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের কী অবস্থা
একেতে লকডাউন, তার ওপর করোনার জেরে লাগু রয়েছে বহু বিধি নিষেধ। একসঙ্গে জমায়েত হয়ে ঘেঁসাঘেঁসি করে বসার ক্ষেত্রেও রয়েছে সমস্যা। এমন সমস্ত কিছুকে মাথায় রেখেই এবার নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি পর্ব সারছেন পড়ুয়ারা। এমন পরিস্থিতিতে সেন্টারে সঠিক পৌঁছনো নিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে পড়ুয়াদের কাছে।

গ্রাম বাংলা ও জয়েন্ট ,নিট
জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার জন্য সেন্টারে পৌঁছতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন পড়ুয়ারা। বিশেষত প্রত্যন্ত গ্রামে যাঁরা থাকেন, তাঁদের লকডাউনের মধ্যে সেন্টার পৌঁছানোর একমাত্র রাস্তা গাড়ি। আর প্রাইভেট গাড়ি গুলি যে দাম হাঁকাচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে, তা শুনলে চমকে উঠতে হয়!

মায়াপুর থেকে বেলেঘাটার ভাড়া..
নদিয়ার পরীক্ষার্থী ইমতিয়াজের সিট পড়েছে বেলেঘাটায়। তাঁর বাড়ি মায়াপুরে।মায়াপুর থেকে বেলেঘাটা যেতে ভাড়া গাড়ি ১২০০০ টাকা দর হাঁকিয়েছে। শিক্ষক পরিবারের ছাত্র ইমতিয়াজের কাছে এই খরত অত্যন্ত বেশি হয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর ইমতিয়াজের মতো অনেকেই মায়াপুরে কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছেন না, যে তাঁরা কীভাবে পরীক্ষার হলে যাবেন।

ধুবুলিয়া থেকে ধুলাগড়
মূলত ১০ হাজার টাকার নিচে জয়েন্টের জন্য গাড়ি বাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ধুবুলিয়া থেকে ধুলাগড় ১৪৪ কিলোমিটার)যেতেও গাড়ির চালক একই ভাড়া চেয়েছেন জনৈক ছাত্র সুমনের কাছ থেকে। যা পিতৃহারা সুমনের কাছে অত্যন্ত কষ্টকর। ট্রেনে এই দূরত্বে অনেক কম খরচেই পৌঁছানো গেলেও, লকজাউনের পরিস্থিতিতে সেরাস্তাও বন্ধ!

গোটা রাজ্যে এক পরিস্থিতি!
অনেকেই বর্ধমানে সেন্টার চেয়ে দুর্গাপুর বা তার আশপাশে পেয়েছেন সেন্টার। মন পরিস্থিতিতে সেন্টারে দূর দূরান্ত থেকে গাড়ি ছাড়া পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না পড়ুয়াদের। অন্যদিকে গাড়িভাড়া কার্যত আকাশ ছুঁতে চলেছে। শুধু দক্ষিণবঙ্গে এমন পরিস্থিতি নয় , উত্তরে মালদা, দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদেও পরিস্থিতি সমান।

পরীক্ষা নিয়ে গাইড লাইন
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নিট ও জিইই পরীক্ষা নিয়ে গাইডলাইন বেঁধে দিল শিক্ষামন্ত্রক। পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট বিধি মেনে পরীক্ষা বসতে হবে। কোনও রকম ধাতব পদার্থ পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও রকম গয়না যেন পরীক্ষার্থীদের গায়ে না থাকে। ঘড়ি, হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে না। মাথা টুপি অথবা ওড়না দিয়ে ঢাকা যাবে না। সবরকম ইলেকট্রিক গ্যাজেট পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ।

করোনা বিধি ও পরীক্ষার সেন্টার
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরেও সর্বভারতীয় মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে কেন্দ্র। কোনও ভাবেই পরীক্ষা পিছোতে নারাজ মোদী সরকার। পরীক্ষা পিছোলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তাই সুনির্দিষ্ট করোনা বিধি মেনেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কৈলাসের পর এবার দিলীপ ঘোষ!রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি