কুলতলিতে অভিষেকের সভায় 'অনুপস্থিত' স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ! মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কুলতলিতে অভিষেকের সভায় 'অনুপস্থিত' স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ! মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
ডায়মন্ড হারবারের পর এবার কুলতলিতে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(abhishek banerjee)। এদিনের সভা থেকে তিনি ফের নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikari) তোলাবাজ, বেইমান, ঘুষখোর বলে আক্রমণ করেন। এদিনের সভায় বিধায়করা হাজির থাকলেও অনুপস্থিত স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল (pratima mondal)। যা নিয়ে ২০২১-এর ভোটের আগে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
কুলতলি থেকে ৫০ হাজার ভোটে জয় আসবে
এদিন কুলতলির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার তৃণমূল কর্মীদের ৩১-০-তে জয়ের সংকল্প নিতে বলেন। প্রসঙ্গত ২০১৬-তে জেলার ৩১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ২৯ টি আসনে। বামেরা পেয়েছিল ২ টি আসন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৩১ টি আসনেই এগিয়ে ছিল। এদিন কার্যত সেই সূত্র ধরেই অভিষেক বলেন, সামনের নির্বাচনে কুলতলি থেকে তৃণমূল জিতবে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে। কুলতলি আসনটি বরাবরের বামপন্থী আসন বলেই পরিচিত। মাঝে ১৯৭২ সাল বাদ দিলে ১৯৬৭ থেকে ২০০৬-এর নির্বাচন পর্যন্ত ওই আসনে জয়ী হয়ে এসেছে এসইউসিআই। আর ২০১১ আর ২০১৬-র নির্বাচনে এই আসন থেকে জিতেছে সিপিএম।
শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা
এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে তোলাবাজ, বেইমান, ঘুষখোর বলে আক্রমণ করেন। কয়েকপাতার কাগজ তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা জেল থেকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী, ছয় কোটি টাকা নিয়েছিলেন তাঁর (সুদীপ্ত সেন) কাছ থেকে। সুদীপ্ত সেনের আরও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করেছেন। পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, জেলার ৩১ টি আসনের মধ্যে যে কোনও একটিতে তিনি দাঁড়ান। তিনি দায়িত্ব নিয়ে হারাবেন।
উপস্থিত ছিলেন না জয়নগরের সাংসদ
আশপাশের তৃণমূল বিধায়করা উপস্থিত থাকলেও এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন না জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তিনি বলেছেন, এই সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত জয়নগর সংসদীয় এলাকার মধ্যেই পড়ে কুলতলি। বাকি ছয় বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল গোসাবা, বাসন্তী, জয়নগর, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব এবং মগরাহাট পশ্চিম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবারের সভাতেও উপস্থিত ছিলেন না ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়করা। এঁরা হলেন, ডায়মণ্ডহারবারের দীপক হালদার, মহেশতলার দুলাল দাস এবং সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সোনালী গুহ। সাতগাছিয়ায় অভিষেকের সভাতেও দেখা যায়নি দীপক হালদার ও দুলাল দাসকে। এই দুই বিধায়ক দুবারই অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ওই সভায়। পরে অবশ্য দীপক হালদারকে দেখা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে।
সাংসদের কথায় জল্পনা
তবে এদিন সংবাদ মাধ্যমে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের দেওয়ার সাক্ষাৎকারে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ২০১৪-তে তিনি একলক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলে। আর ২০১৯-এ সেই ব্যবধান ছিল সাড়ে তিনলক্ষের কাছাকাছি। তিনি মানুষের ভোটে জিতেছেন। জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করেছে। তাঁদেরকেই তিনি প্রথমে সম্মান জানাতে চান। আর দলের যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ডাকবে। আর ২০১৪ সালে দল ভাবলে তিনি ফের মানুষের কাছে যাবেন।
ছবি সৌজন্য:ফেসবুক
শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে প্রেস্টিজ ফাইট জিততে বিশেষ দল মমতার, অঙ্ক কষে স্ট্র্যাটেজি