আমরিতে ধূমকেতুর মতো উত্থান জয়ন্তী চ্যাটার্জির
মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে বিদ্ধ আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। বিতর্কের জেরে তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে বিদ্ধ আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। বিতর্কের জেরে তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে সামান্য এক টাইপিস্টের পদ থেকে তাঁর এই উত্থান তাক লাগায় সকলকেই।
আড়াই বছরের শিশু ঐত্রী দের মৃত্যুর পরেই পরিবার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতি অভিযোগ তোলায় আসরে নামেন আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা ভিডিওতেই প্রমাণ জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রথমেই তেড়ে গিয়ে বলেন, আগে গাফিলতি প্রমাণ হোক। তার পরে কথা বলবেন। শিশুর মা ডাক্তার নন। আরও অভিযোগ, শিশুর পরিবার জয়ন্তীর কথার প্রতিবাদ করলে, জয়ন্তী আরও গলা চড়ান। বলেন, 'এখানে মস্তানি করবেন না। আমার চেয়ে বড় মস্তান এখানে কেউ নেই।' এই ঘটনায় আরও ক্ষেপে যান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার সময়েই জয়ন্তী কান ধরে দায়সারা ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর অফিস থেকে বেরনোর সময় তাঁর হাত ধরে মুচড়ে দেওয়া হয়েছি। যদিও সিসিটিভি ফুটজ ধরে তার কোনও প্রমাণ জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় দিতে পারেননি। যদিওো রাতের দিকে হাসপাতালের তরফে গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, জয়ন্তী চট্টোপাধ্য়ায়কে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকটাই ধুমকেতুর মতো উত্থান জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। টাইপিস্ট হয়ে হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। তারপরেই এক্কেবারে হাসপাতালের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। হঠাৎই ইউনিট হেড। হাসপাতালেরই একাংশের কর্মীরা জানাচ্ছেন ব্যবহারে অত্যন্ত উদ্ধত এই জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। সিনিয়রদের কোনও রকম সম্মান দেন না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে, জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তা। সেই দিকটিও জয়ন্তীর উত্থানে কাজে লেগেছে বলেই অভিযোগ হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের।