বিজেপিতে বিদ্রোহীরা সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছেন, শান্তনুর জেলা সফর নিয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত জয়প্রকাশের
বিজেপিতে বিদ্রোহীরা সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছেন, শান্তনুর জেলা সফর নিয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত জয়প্রকাশের
বিজেপিতে বিদ্রোহ থামার কোনও লক্ষণ নেই। দলের আদি দুই নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করেও বাগে আনা যাচ্ছে না বিদ্রোহীদের। বিজেপির বিদ্রোহীরা ফের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েই লড়াইয়ে নামছেন বিদ্রোহীরা। তাঁরা আসন্ন পুরভোটের আেগ রণকৌশল তৈরি করছে নতুন করেন।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জেলা সফরে বেরোবেন
বিজেপির বরখাস্ত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ফের বোমা ফাটিয়েছেন। জেলায় জেলায় বিক্ষুব্ধদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগী হচ্ছেন জয়প্রকাশ মজুমজদার, রীতেশ তিওয়ারি, শান্তনু ঠাকুররা। জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জেলা সফরে বেরোবেন।
বিজেপিতে বিদ্রোহ থামার কোনও লক্ষণ নেই
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সামনেই পুরভোট। শতাধিক পুরসভায় ভোটের আগে জেলার নেতা-কর্মীরা অন্ধকারে পড়ে রয়েছেন। তাঁরা জানেন না কী রণকৌশল নেবেন তাঁরা। তাঁদেরকে সঠিক পথ দেখানোই উদ্দেশ্য হবে ওই জেলা সফরের। জয়প্রকাশের এই কথায় সুস্পষ্ট সাময়িক বরখাস্তের নিদান দিয়ে শাস্তি বিধানের পরও বিজেপিতে বিদ্রোহ থামার কোনও লক্ষণ নেই।
বিদ্রোহী ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের এক ছাতার তলায় আনতে
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা চাইছেন জেলায় জেলায় বিক্ষুব্ধদের ঐক্যবদ্ধ করতে। সেইমতো বাজেট অধিবেশন শেষে শান্তনু ঠাকুর জেলা সফরে বেরিয়ে বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের একটা মঞ্চ তৈরি করবেন। বিদ্রোহী ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের এক ছাতার তলায় এনে তাঁরা ভবিষ্যৎ রণকৌশল তৈরি করবেন।
নিচুতলার নেতা ও কর্মীদের সঠিক দিশা দেখাতে
বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের দাবি, কীভাবে ভোটে লড়া হবে, বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য কী, কোন ইস্যুতে তাঁরা পুরসভো ভোটে লড়াই করবে- সেইসব নিয়ে কার্যত অন্ধকারে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দলের নিচুতলার নেতা ও কর্মীদের সঠিক দিশা দেখাতে পারছেন না। তাই বুথস্তরে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হচ্ছে না।
কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে বসে বিজেপির নেতা-কর্মীরা
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, জেলায় জেলায় ক্ষোভের আগুন তৈরি হয়েছে। যদি কোনও কমিটি না করা হয়, যদি কাউকে দায়িত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে কে করবে এই নির্বাচন পরিচালনা। কেন বিজেপি জেলার কমিটি করতে এত ভয় পাচ্ছে। জেলার সাংগঠনিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই অবস্থায় কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের।
সাময়িক বরখাস্ত নেতার মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রায় নয়
বিজেপি এ বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি। শমীক ভট্টাচা্র্য জানান, জয়প্রকাশ মজুমদার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এখনও দলেরই কর্মী। তিনি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। তাঁর মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। এভাবেই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন পুরো বিষয়টি।
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে কী বলছে তৃণমূল
বিজেপির এই অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিতে মুষলপর্ব শুরু হয়েছে। আদি বিজেপি বনাম তৎকাল বিজেপি, তৎকাল বিজেপি বনাম পরিযায়ী বিজেপি কোন্দল চলছে। বিক্ষুব্ধরা জোটবদ্ধ হচ্ছেন। তবে তাঁদের কারও সঙ্গেও বাংলার মানুষ ও উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই।