'ভারী' হচ্ছে জয়প্রকাশ-রীতেশদের দল! নাড্ডা-শাহদের চিঠি দিয়ে 'দিল্লি চলো'র ডাক বিক্ষুব্ধদের
'ভারী' হচ্ছে জয়প্রকাশ-রীতেশদের দল! নাড্ডা-শাহদের চিঠি দিয়ে 'দিল্লি চলো'র ডাক বিক্ষুব্ধদের
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের শোকজের জবাব আপাতত না দিয়ে দিল্লি যাত্রার প্রস্তুতি বিক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) নেতাদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar), রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari) দিল্লিতে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা এদিন চিঠিও পাঠাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য তালিকায় জায়গা না পেয়েই বিক্ষুব্ধ
গতমাসের শেষের দিকে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় রাজ্য সহসভাপতি হিসেবে বাদ পড়েন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। অন্যদিকে রকাজ্যে ও জেলা কমিটিতে মতুয়াদের স্থান না পাওয়ার অভিযোগে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। তারপর থেকে রাজ্য বিজেপির তরফে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলে, তা সফল হয়নি। বরং দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
একের পর এক বৈঠক থেকে পিকনিক
রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের স্থান না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনিও বিক্ষুব্ধ নিয়ে বৈঠক শুরু করেন ঠাকুর নগরে। সেই তালিকায় যুক্ত হয় সায়ন্তন বসুর মতো নেতাদের নামও। কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে বৈঠকও করেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। এরপর উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক পিকনিকের আয়োজন করা হয় শান্তনু ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায়।
বিক্ষুব্ধদের বাগে আনতে শোকজ
জেলা ও রাজ্য কমিটি নিয়ে অসন্তোষ কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে ছড়িয়ে পড়ে বাইরের জেলাগুলিতে। সেখানেও দেখা যায় বিজেপি বিধায়করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে বিজেপির তরফে রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজের চিঠি ধরানো হয়। চিঠি পাওয়ার পরেই জয়প্রকাশ মজুমদার শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শান্তনু ঠাকুর এইসব নেতাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে রীতেশ তিওয়ারি অভিযোগ করেন, শোকজের খবর আগে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ফাঁস করে অপরাধ করেছেন নেতারা।
নাড্ডা ও অমিত শাহের কাছে চিঠি
জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজের চিঠি দেওয়া হলেও, জবাব কতদিনের মধ্যে দিতে হবে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই পরিস্থিতিতে চিঠির উত্তর না দিয়ে দিল্লিতে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাঁরা চিঠি দিতে চলেছেন সোমবারেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁরা ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যেতে পারেন। সূত্রের আরও খবর, নতুন গঠিত জেলা কমিটি নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যের মণ্ডল সভাপতিদের একটি অংশও এই দলে যোগ দিতে চান। সেক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধদের দল ক্রমেই ভারী হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজ্য বিজেপির এইসব বিক্ষুব্ধ নেতাদের আবেদনে অমিত শাহ কিংবা জেপি নাড্ডারা কতটা সাড়া দেন, এখন তারই অপেক্ষা।