রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন বিশ্বরূপ মাহাতোর
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করা হল ছত্রিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর জেলায় ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ ক্যাম্পে সহকর্মীর গুলিতে নিহত বিশ্বরূপ মাহাতোর মৃতদেহ।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করা হল ছত্রিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর জেলায় ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ ক্যাম্পে সহকর্মীর গুলিতে নিহত বিশ্বরূপ মাহাতোর মৃতদেহ। বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছিল তার। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার আড়ষা থানার কাঁটাডি এলাকার খুঁকড়ামুড়া গ্রামের বিশ্বরুপ মাহাতোর মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌছায়। দেহ নিয়ে গ্রামে আসে রাঁচিতে অবস্থিত এই পুলিশ ফোর্সের আধিকারিক ও জওয়ানরা। মৃতদেহ গ্রামে ঢুকতেই কান্নার রোলে ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম।
দুদিন ধরে অধীর প্রতীক্ষায় ছিল আত্মীয় পরিজন সহ গোটা গ্রামের মানুষ। আজ তার মৃতদেহটির রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন আইটিবি জওয়ানরা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত সহায়তা করা হয়।
এই দিন ভোরে রাঁচি এসে পৌঁছায় বিশ্বরূপ মাহাতোর মৃতদেহ। সেখান থেকে সড়ক পথে পুরুলিয়া জেলার নিজের গ্রামে আনার পর বিশ্বরূপ মাহাতোকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
আইটিবিপি-র রাঁচির কমান্ডান্ট রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন যে ওই গুলি চালানোর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্বরূপ মাহাতোর পরিবারের সদস্যদের সব রকমের সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে।
বুধবার সকালে কাদেন্ডা ক্যাম্পে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এলাকার বিলকুমারি গ্রামের মাসেদুল রহমান নামের এক জওয়ান গুলি চালায়। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় বিশ্বরূপ মাহাতো ছাড়াও এই রাজ্যের কালনার শ্রীরামপুর গ্রামের সুরজিত সরকার নামে আরেক জওয়ান মারা যান। পুলিশ জানায় যে এই ঘটনাতে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে ও দুই জন জওয়ান আহত হয়েছেন।