প্লাবনের আশঙ্কা জলপাইগুড়িতে, নতুন ব্রিজ পাচ্ছে বালুরঘাট
দীর্ঘ পনেরো-কুড়ি বছর ধরে নৌকা ও বাঁশের সাঁকোই ছিল একমাত্ৰ উপায়। যোগাযোগ বলতে এখানকার ভরসা ছিল বালুরঘাট ব্লকের খাসপুর, দেবীপুর, দুর্লভপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের।
দীর্ঘ পনেরো-কুড়ি বছর ধরে নৌকা ও বাঁশের সাঁকোই ছিল একমাত্ৰ উপায়। যোগাযোগ বলতে এখানকার ভরসা ছিল বালুরঘাট ব্লকের খাসপুর, দেবীপুর, দুর্লভপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের। কয়েক হাজার মানুষের বসবাস এই গ্রামে বাসিন্দাদের দাবি ছিল, প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বদের কাছে।
আত্রেয়ী নদীর উপর দিয়ে একটি স্থায়ী সেতু তৈরি করতে হবে, এই প্রতিদানে ভোটের সময় তারা প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। ফলে কখনও বাঁশের সাঁকো আবার কখনও নৌকার মধ্যে দিয়ে বিপদজনক ভাবে নদী পারাপার করতে হতো সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা মিটতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বালুরঘাট ব্লকের পাগলিগঞ্জ ও খাসপুরের মাঝে আত্রেয়ী নদীতে তৈরি হচ্ছে স্থায়ী সেতু। এই সেতুটি মোট ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে। সেতুর কাজ দুই বছর আগে শুরু হয়। বর্তমানে সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর কিছু দিনের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।
এদিকে জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টির ফলে করলা নদীর জল বেড়েই চলেছে। জলের গতি বাড়ার ফলে ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্ষতি হতে পারে জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরানি মন্দির এলাকার।
এই মুহূর্তে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের একটি ঘর নদীর মধ্যে চলে গিয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে ধস নামতে শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের প্রবেশের রাস্তা। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরানি মন্দির খুব তাড়াতাড়ি করলা নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
জলপাইগুড়ি জেলা সহ উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে লাগাতার বৃষ্টি। জেলার সমস্ত নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এইভাবে লাগাতার বৃষ্টির ফলে। জলপাইগুড়ি এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরানি মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করলা নদী। পাশাপাশি মন্দিরের সামনে চার রাস্তা লেন এটি জাতীয় সড়কের কাছে। যার ফলে এলাকার মাটি খুবই নরম। যার ফলে প্রবল বৃষ্টিতে মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এছাড়া মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা নদীর নীচে চলে গিয়েছে।
মন্দিরের পূজারি সুভাষ চৌধুরী বলেন, মন্দিরে প্রতিদিন অনেক ভক্তরা আসেন। অনেক দূর দূর থেকে পুজো করতে আর আসতে পারছেনা এই বৃষ্টির কারণে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে এই ভাঙ্গন যদি না আটকায় তাহলে মন্দির নদী গর্ভে চলে যাবে।