মেয়ে হলেই তালাক! বিয়ের আগেই হবু স্বামীর হুমকিতে আত্মঘাতী পাত্রী
হবু শ্বশুর বাড়ির দুই দাবির জাঁতাকল। আর তার জেরেই আত্মঘাতী হলেন যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের ঘোষপাড়ায়। দুই দাবির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যও ছড়ায়।
হবু শ্বশুর বাড়ির দুই দাবির জাঁতাকল। আর তার জেরেই আত্মঘাতী হলেন যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের ঘোষপাড়ায়। দুই দাবির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যও ছড়ায়।
জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অজিত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল রাজগঞ্জের ঘোষপাড়ার জারিনা খাতুনের। সদ্য 'মোহর' হয়েছিল জারিনা এবং অজিতের। কিছুদিন পরেই বিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে জারিনার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
জারিনার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, অজিতের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা পণ হিসেবে চাওয়া হয়েছিল। মোহরের সময় ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা শিগগির দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছে জারিনার পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ সোমবার রাতে হবু স্বামী অজিত হোসেন পণের দাবির সঙ্গেই, হুমকি দেওয়া দেন, কন্যা সন্তান জন্মালে সন্তানকে হোমে পাঠিয়ে জারিনাকে তালাক দেওয়া হবে। এরপর মঙ্গলবার সকালে নিজেদের রান্না ঘর থেকে জারিনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
জারিনার জামাইবাবু শাহজাহান আলি জানিয়েছেন, জারিনার দিদি কিছুদিন আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দুটি কন্যা সন্তান নিয়ে তিনি সুখেই আছেন। তাঁর এই দুটি কন্যা সন্তানের কথা অজিতের বাড়িতে জানাজানি হওয়ার পর জারিনাকে হুমকি দেওয়া হয়, কন্যা সন্তান জন্মালে সন্তানকে হোমে পাঠিয়ে জারিনাকে তালাক দেওয়া হবে। এর সঙ্গে পণের দাবিও করা হয়েছিল। যার জেরে আত্মহত্যা করেছেন জারিনা।
মাল মহকুমার বাসিন্দা অজিত হোসেন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জারিনার পরিবার। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।