জলপাইগুড়িতে বেহাল জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র
পর্যটন পরিষেবার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই টাকা খরচ করার পরও পর্যটন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ২ নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যটন কেন্
পর্যটন পরিষেবার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই টাকা খরচ করার পরও পর্যটন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ২ নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যটন কেন্দ্রটির জন্য ২০১২ সালে পর্যটন দপ্তর থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল এই পর্যটন কেন্দ্রের জন্য। পরবর্তীত সময় দেখাগেছে যে পর্যটকদের আসা-যাওয়া সব কিছুই ভালই ছিল।
কিন্তু গত ছয় মাস আগে বন্যায় ভেসে গেছিলো সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্রের গার্ড ওয়ালটি। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বিলের জল শুকিয়ে যাবে। আবার কিছু জায়গায় জল বেশি। এর মধ্যেই নৌকাবিহারের পঁচিশ জনকে নিয়ে রওনা দেন মাঝি। ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তার ও যথেষ্ট নয়। অভিযোগ আলিপুরদুয়ার ব্লক প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই ব্লকের ওই পর্যটন কেন্দ্রটি নষ্ট হতে চলেছে। যদিও এ বিষয়ে ব্লক স্তরের কোন নেতৃত্ব বা আধিকারিক তারা কথা বলতে রাজি নন । বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্রে যে পরিমাণ পর্যটক আসে তা থেকে ভালো আয় হয়।
কিন্তু পর্যটকরা এই সময়ে তারা আসেন এই পর্যটক কেন্দ্রে। কিন্তু কোন রকম পরিষেবা নেই এই পর্যটন কেন্দ্রে । স্হানীয় মানুষের অভিযোগ আয় ব্যতীত কোন রকম ব্যায় করছে না দ্বায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। আয় এর উৎসর টাকা জমা হয় আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে । বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে ১০০ টাকা আয় এর মধ্যে ৪৫ টাকা পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ডে রাখা হয়। ২০ টাকা দেওয়া হয় জয়েন্ট ফরেস্ট মেম্বার কমিটিকে। ৪৫ টাকা পায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী । সিকিয়াঝোড়া পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ নৌকা বিহার । গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার বিল রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রে । নৌকা বিহার করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের পাখি সহ বন্য জন্তুর দেখা মেলে। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত বসার জায়গা নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। নেই কোন খাওয়ার সু ব্যাবস্থাও কিন্তু গাড়ীর রাখার টাকা প্রবেশ মূল্য নৌকাবিহার এর টিকিটের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এমন কি সিকিয়াঝোড়া পর্যটন কেন্দ্রের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে । নৌকার মাঝি ক্ষিতীশ বর্মন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সরকার টাকা নিচ্ছে কিন্তু উন্নতি নেই। ভরা মরসুম পড়ার আগেই খাবার মতো সময় নেই তাদের ।