শুভেন্দুর অফিসে পুলিশি হানা, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল ধনখড়ের
শুভেন্দুর অফিসে পুলিশি হানা, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল ধনখড়ের
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পুলিশি হানার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যপা জগদীপ ধনখড়। ঘটনার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিবকে সকাল ১১টার মধ্যে রাজভবনে হাজিরা দিতে বলেছেন তিনি।
রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশি হানার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন শুভেন্দুর দফতরে পুলিশ তল্লাশি চালাল তা জানতে চেয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। সকাল ১১টার মধ্য তাঁকে রাজভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন। তাঁর অনুমতি না নিয়ে এবং কোনও রকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই রাজ্য পুলিশের আধিকারীকরা তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল।
ফের সক্রিয় রাজ্যপাল
ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গতকালই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে তলব করেছিলেন তিনি। তাঁরা গিয়ে দেখাও করেছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই সিবিআই রাজ্যের এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। রাজ্যের মন্ত্রীকেও জেরা করা হয়েছে এই মামলায়। এমনকী শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যেই রাজ্যপালের শিক্ষামন্ত্রী এবং শিশক্ষা সচিবকে তলব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ নতুন কিছু নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের পরেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নালিশ ঠুকেছিলেন তিনি। এই নিয়ে প্রকাশ্য রাজ্য সরকার এবং স্পিকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি। এমনকী স্পিকারের বিরুদ্ধে পদক্ষের করার হুমকিও দিয়েছিেলন তিনি। এদিকে আবার লোকসভায় শাসক দলের সাংসদরা রাজ্যপালের অপসারণ দাবি করে সরব হয়েছিলেন। এমনকী স্পিকারও লোকসভার স্পিকারের কাছে রাজ্যপালের নামে নালিশ ঠুকেছিলেন।
বাবুেলর শপথ বিতর্ক
বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নিয়েও চরম বিতর্ক হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিেলন বাবুল সুপ্রিয়। তারপরে বিধানসভা উপনির্বাচনে সুব্রত মুখোপাধ্যােয়র কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন বাবুল। কিন্তু তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাতে রাজি হননি রাজ্যপাল। শেষে ডেপুটি স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করান। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রবল টানাপোড়েন হয়েছিল রাজ্যপালের।