সংবিধান রক্ষা করতেই শীতলকুচিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার অনুমতি নেওয়া প্রসঙ্গ বিস্ফোরক রাজ্যপাল ধনখড়
সংবিধান রক্ষা করতেই শীতলকুচিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার অনুমতি নেওয়া প্রসঙ্গ বিস্ফোরক রাজ্যপাল ধনখড়
স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে। এদিন বিএসএফ-এর হেলিকপ্টারে কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। এদিন তিনি একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তাঁর অনুমতি নিতে হবে
রাজ্যপাল যে শীতলকুচি যেতে চান তা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিলেন। এর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন তাঁর (মুখ্যমন্ত্রী) অনুমতি নিতে হবে। যা নিয়ে এদিন রাজ্যপাল চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করে যেতে হবে। কিন্তু তিনি বলে দিতে চান, স্বাধীন ভারতে প্রত্যেকটি নাগরিকের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে।
মানবাধিকার কমিশন, সংবাদ মাধ্যমকে নিশানা
এদিন তিনি কোচবিহারে মানবাধিকার কমিশন এবং সংবাদ মাধ্যমকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, এইসব ঘটনা পশ্চিমবঙ্গেই হচ্ছে বলে, তাঁর বলতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, কোথায় গেল মানবাধিকার সংগঠনগুলি, কোথায় গেল সংবাদ মাধ্যম। তিনি বলেন, বাংলায় এখন প্রয়োজন সৌভ্রাতৃত্বের। তিনি বলেন সংবিধানকে বাঁচাতে যতই বাধা আসুক না কেন, কেই তাঁকে বাধা দিতে পারবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন
রাজ্যপাল
বলেন,
১০
এপ্রিল
শীতলকুচিতে
গুলি
চালনার
দিন
মুখ্যমন্ত্রী
বলেছিলেন
ঠান্ডা
মাথায়
খুন।
কিন্তু
সেই
খুন
রাজ্যের
বিভিন্ন
জায়গায়
ঘটছে।
রাজনৈতিক
উদ্দেশেই
তা
করা
হচ্ছে
বলে
অভিযোগ
করেন
রাজ্যপাল।
তিনি
বলেন,
বাংলার
পরিস্থিতি
নিয়ে
বিশ্বের
বিভিন্ন
জায়গার
মানুষ
উদ্বেগে
রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতি
আবেদন
জানিয়ে
তিনি
বলেন,
এইসব
ঘটনায়
যেন
সঠিক
পদক্ষেপ
গ্রহণ
করা
হয়।
তিনি
বলেন.
প্রশাসনিক
আধিকারিকদের
হাতে
মুঠোয়
না
রেখে
তাঁদের
কাজ
করতে
দেওয়া
হোক।
তিনি
প্রশ্ন
করেন,
কিছু
লোকের
সাহস
হয়
কী
করে,
আইন
হাতে
তুলে
নেওয়ার।
তিনি
বলেন,
মুখ্যমন্ত্রীকে
এব্যাপারে
পদক্ষেপ
নিতে
তিনি
বলেছিলেন,
কিন্তু
তা
এখনও
পর্যন্ত
তা
নেওয়ার
কোনও
ভূমিকা
তাঁর
চোখে
পড়েনি
বলে
অভিযোগ
করেছেন
রাজ্যপাল।
অমিত শাহ 'নিখোঁজ'! এনএসইউআইয়ের দায়ের করা পুলিশি অভিযোগে সরগরম দিল্লির রাজনীতি
যাবেন অসমের ত্রাণ শিবিরে
অসমে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়াদের রাজ্যে ফেরত আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার তিনি অসমের ত্রাণশিবির পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর যাওয়ার খবরে সেখানে থাকা অনেকেই আশ্বস্ত হতে পেরেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সেইসব বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিজের বুকে গুলি খেতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।