পুলিশের শিরদাঁড়ায় আঘাত করছেন মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে মমতাকে নিশানা ধনখড়ের
পুলিশের শরদাঁড়ায় আঘাত করছেন মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে মমতাকে নিশানা ধনখড়ের
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটে আক্রমণ শানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে তিনি লিখেছেন পুলিশের শিরদাঁড়ায় আঘাত হানছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ সুপারদের রাজ্যপাল প্রতিদিন ফোন করেন কিনা এটা নিয়ে বিশেষ আলোকপাতের প্রয়োজন রয়েছে বলে টুইটে লিখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই জানতে চেয়েছিলেন তাঁকে রাজ্যপাল ফোন করে চাপ ৈতরি করেন কিনা।
মমতাকে টুইট ধনখড়ের
মুখ্যমন্ত্রী টুইটে রাজ্যপালকে ব্লক করে দিলে কী হবে রাজ্যপাল কিন্তু আক্রমণ থামাচ্ছেন না। গতকালের পর আজ ফের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের শিরদাঁড়ায় আঘাত করছেন। রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন কখন তিনি ফোন করেন পুলিশ সুপারদের সেটা নিয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন রয়েছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করেছেন নতুন টুইটে।
কী ঘটেছিল প্রশাসনিক
গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্বমেদিনীপুেরর পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যপাল কি তাঁকে ফোন করে ভয় দেখান। অর্থাৎ তিনি জানতে চেয়েছিলেন তাঁর উপর চাপ তৈরি করছেন কিনা রাজ্যপাল। তাঁর উপর কোনও রাজনৈতিক দলের চাপ রয়েছে কিনা। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছিেলন অনেকে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা ইন্ধন দিচ্ছে। কেউ বলে দেবে এটাকরবে না ওটাকরবে না সেটা করবে না। যেটা নিজের দায়িত্ব সেটাই পালন করবে বলে সরাসরি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
নেতাই কাণ্ড নিয়ে জবাব তলব
নেতাই দিবসের দিন বিরোধী দলনেতার গাড়ি আটকানো হয়েছিল ঝিটকার জঙ্গলে। পুলিশ আটকে ছিল তাঁর গাড়ি। তাই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই এই নিয়ে রাজ্যে মুখ্যসচিব এবং পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি। তিনি জানতে চেয়েছিলেন কার নির্দেশে বিরোধী দলনেতাকে ঝিটকার জঙ্গলে আটকে ছিল পুলিশ। কিন্তু তার তলবের কোনও জবাব মুখ্যসচিব এবং ডিজি দেননি। তাতে প্রবল রুষ্ট হয়েছিলেন তিনি।
মমতাকে নিশানা শুভেন্দু
প্রশাসনিক বৈঠকে প্রকাশ্যে পুলিশ সুপারকে নির্ভয়ে কাজকরতে বলার ঘটনা নিয়ে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যে এই কথা বলেেছন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে সেকারণেই এই সব কথা বলছেন তিনি। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে হেরেছেন বলেই এই ঘটনা তৈরি হয়েছে।