রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে, শপথ গ্রহণের পরেই সরকারকে নিশানা করে বিস্ফোরক ধনখড়
রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে, শপথ গ্রহণের পরেই সরকারকে নিশানা করে বিস্ফোরক ধনখড়
সোমবার সকালে ছিল বহু প্রতীক্ষিত শপথ গ্রহণের (swearing in ceremony) অনুষ্ঠান। তা মিটতেই ভোট পরবর্তী হিংসা (post poll violence) নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (kagdeep dhankhar)। এদিন তিনি অভিযোগ করেছেন, হিংসার ঘটনার পর্যবেক্ষণে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকতে চাইলেও, ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার।
রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা, দাবি বিজেপির
রাজ্য বিজেপির তরফে, ভোট গণনার পর থেকে বিভিন্ন সময় ভিডিও কিংবা স্টিল ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হিংসা ঘটনা ঘটছে রাজ্য জুড়ে। হিংসার ঘটনা বেশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। নন্দীগ্রামেও একের পর এক জায়গায় বিজেপির কর্মীদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এমন কী সেই ঘটনা থেকে বাদ যায়নি কলকাতাও। কলকাতা পুরসভা এলাকায় যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। বিজেপির ১২ জনের বেশি কর্মী-সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
৯৯ শতাংশ ভিডিও ভুয়ো
যদিও রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, যেসব জায়গায় বিজেপি জিতেছে, সেইসব জায়গায় গেরুয়া বাহিনী তৃণমূলের ওপরে হামলা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বিজেপির তাদের ওপরে হামলা হিসেবে যসব ভিডিও প্রকাশ করছে, তার ৯৯ শতাংশই ভুয়ো।
শপথের পরেই সরব রাজ্যপাল
এদিন সকালে রাজভবনে রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভার ৪৩ জন মন্ত্রী শপথ নেন। তার কিছুক্ষণ পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেইসব জায়গায় যাওয়া তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্য। তিনি আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করেনি। রাজ্যে হিংসার ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তিনি করেছেন। তিনি প্রহশ্ন করেন, মানুষ ভোট দেওয়ার ফলেই কি আক্রমণ? রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেও বর্ণনা করেন তিনি। রাজ্য জুড়ে হিংসা চলছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার উদ্বেগজনক রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর ডাক
মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর ডাক দিয়ে তিনি বলেছেন, ৩ মে তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার নগরপালের কাছে হিংসা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত তাঁকে সেই রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, তাঁকে পাঠানোর জন্য ডিজিপি রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রসচিব তথা অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে পাঠিয়েছেন। কলকাতার নগরপালও তাই করেছেন। কিন্তু সেই রিপোর্ট তাঁকে এখনও পাঠানো হয়নি। রাজ্যের এই ধরনের আধিকারিকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।