রাজ্যের গঠিত পেগাসাস তদন্ত কমিটি নিয়ে ফের রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল ধনখড়ের
রাজ্যের গঠিত পেগাসাস তদন্ত কমিটি নিয়ে ফের রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল ধনখড়ের
পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত কমিটি গড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সেই তদন্তকমিটি কতটা কাজ করেছে তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এখনও সেই রিপোর্ট তাঁকে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে পেগাসাস তদন্ত কমিটি নিয়ে যাবতীয় তথ্য তাঁকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ছেন জগদীপ ধনখড়।
পেগাসাস কাণ্ড
পেগাসাস নিয়ে গত বাদল অধিবেশনে তোলপাড় হয়েছিল সংসদ অধিবেশন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস ব্যবহার করার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন পেগাসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করে মোদী সরকার বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পেতেছিলেন। সেয়ময় ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ছিল।তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবং রাহুল গান্ধীর ফোনেও ব্যবহার করা হয়েছিল ইজরায়েলি স্পাইওয়ার। এই নিয়ে বাদল অধিবেশনে তোলপাড় হয়েছিল।
তদন্ত কমিটি গঠন মমতার
পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার আগে প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে তদন্ত কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন তদন্ত কমিটির কথা। সেই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে পেগাসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করে কার কার ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। তারপরেই এই নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শেষে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এডিটর্স গিল্ড। তারপরেই পেগাসাস মামলা গৃহীত হয় শীর্ষ আদালতে।
রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব
পেগাসাস কাণ্ডের রাজ্য সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি কীভাবে কাজ করছে। কেনই তা গঠন করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এখনও তার কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কাজ করছে ওই কমিটি। কয়েকজনকে এই নিয়ে জেরাও করা করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যপালকে কোনও রকম রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। তাতেই রুষ্ট হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সোজা সুজি টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন কিছু নয়। পুরভোট নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠেছে। রাজ্যপাল সরাসরি পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্যে ২ দফায় পুরভোট দাবি করেছেন রাজ্যপাল। হাওড়া পুরসভা থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে পুরভোটের আগে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে।