চমকের পর চমক, হঠাৎই বিজেপি নেতার বাড়িতে ধনকড়! রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
চমকের পর চমক, হঠাৎই বিজেপি নেতার বাড়িতে ধনকড়! রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুক্রবার দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করা। তবে এদিন সেই বৈঠক ঘিরে জল্পনা বেড়েছে। ঠিক কী বিষয়ে আজ বৈঠক, তা নিয়ে রাজভবনের তরফে সুস্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও পিছিয়ে গিয়েছে রাজ্যপালের। তবে এরই আগে এদিন দিল্লিতে বিজেপি নেতার বাড়িতে যান রাজ্যপাল। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
চমকের পর চমক
অমিত-ধনকড়ের আজকের বৈঠক রাজনৈতিক মহলে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের আগেই আরও বড় চমক দেন রাজ্যপাল। বিজেপির সর্বাভারতীয় সাধারণ সভাপতি বি এল সন্তোষের সঙ্গে এদিন হঠাৎই বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সন্তোষের বাড়িতে পৌঁছে যান তবে এভাবে প্রটোকলের বাইরে গিয়ে সন্তোষের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতের কোনও কারণ এখনও জানা যায়নি।
ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বুধবার বিকেলে আচমকাই রাজভবনে গিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের মাঝে এই বৈঠক ঘিরেও বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়। সেই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা তা এখনও জানা যায়নি। এরই মধ্যে জানা যায় যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই বৈঠক নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।
কেন অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল?
সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে রাজ্যপালের৷ এইসঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তারও আবেদন জানাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তবে রাজ্যপাল এদিন হঠাৎই বিএল সন্তোষের সঙ্গে দেখা করায় জল্পনা বাড়তে শুরু করে। এরপরঅমিত শাহ ব্যস্ত হয়ে যাওয়াতে পূর্বনির্ধারিত সময়ে রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক না হওয়ায় সেই জল্পনা বাড়ে আরও বহু যোজন।
সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছেন। রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের হত্যার বিষয়টিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল তুলে ধরতে পারেন৷
কোন পদক্ষেপ নেবেন রাজ্যপাল
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজভবন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজভবনের সূত্রেও কিছু জানানো হয়নি৷ কয়েকদিন আগেই রাজ্যপালের অপসারণ দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদরা। তারপর মমতার সরকারের প্রতি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। এরই মাঝে, রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে এখন জল্পনা তুঙ্গে।