বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা! কৃষক দিবসে হিসেব দিয়ে মমতাকে আর কী বললেন ধনখড়
বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা! কৃষক দিবসে হিসেব দিয়ে মমতাকে আত্মানুসন্ধানের আহ্বান ধনখড়ের
ফের টুইটে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ( jagdeep dhankhar)। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো একটি চিঠি টুইট করে বলেছেন, রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত। প্রসঙ্গত এদিনই ছিল কৃষক দিবস। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ এদিনই গিয়েছেন দিল্লিতে অবস্থানরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে।
কৃষক দিবসে সরব রাজ্যপাল
এদিন ছিল কৃষক দিবস। সেদিনই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো ২৬ সেপ্টেম্বরের একটি চিঠি দিয়ে। সেখানে তিনি বলেছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলবেন, পিএম কিষাণ যোজনার সুবিধা থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করে কার্যত অন্যায় করেছেন তিনি। হিসেব দিয়ে তিনি বলেছেন, এতে রাজ্যের এক একজন কৃষকের ১২ হাজার টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের কৃষকরা মোটা ৮৪০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে রাজ্যপাল আন্তনুসন্ধানের জন্য আহ্বান করেছেন। টুইটে তিনি আরও বলেছেন, এই প্রকল্পে টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে তলে যায়। যেসব কৃষক পরিবার উপযুক্ত, তাঁদের চিহ্নিত করণের কাজ করে থাকে রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রকে চিঠি মমতার
দিন কয়েক আগে ফের একবার রাজ্যে কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প লাগুর জন্য চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নিজের ৯ সেপ্টেম্বরে দেওয়া চিঠির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সেই প্রকল্প লাগু করতে হবে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারকেই পাঠানো হোক। রাজ্যই তা কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেবে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন রাজ্যে থাকা কৃষকদের জন্য প্রকল্পে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেয় রাজ্য সরকার। তাতে ৭৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। সুতরাং কিষাণ সম্মান নিধির টাকা হাতে পেলে, নিয়ম মেনে তা সুবিধাপ্রাপকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মমতার দূত দিল্লি, হরিয়ানা সীমান্তে
এদিকে এদিনই মমতার দূত হিসেবে পাঁচ সাংসদ গিয়েছেন দিল্লি ও হরিয়ানা সীমান্তে। সেখানে অবস্থানরত কৃষকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এদিনও মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। আন্দোলনকে জোরদার করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস নতুন কৃষক আইনের বিরুদ্ধে ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভেও সামিল হয়েছিল।
বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল
রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকারের অংশ না নেওয়াও অন্যতম। এছাড়া রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।