চলছে তৃতীয় দফার ভোট! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন রাজ্যপালের
তৃতীয় দফার ভোট চলছে। । ভোট গ্রহণ হচ্ছে হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়ার ৭টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি এবং হুগলির ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে।
তৃতীয় দফার ভোট চলছে। । ভোট গ্রহণ হচ্ছে হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়ার ৭টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি এবং হুগলির ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল ধনখড়ের ফোনালাপের খবর সামনে আসছে। গত ১ লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে বসে রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবার কথা হল দুজনের।
শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে মমতাকে ফোন
জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। পরে টুইট করে নিজেই সেই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ভোট চলাকালীনই রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ ঘিরে তৈরি হয় চাঞ্চল্য।
কেঁপে ওঠে উত্তরবঙ্গ
কেঁপে ওঠে উত্তরবঙ্গ। সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। কম্পনের মৃদু প্রভাব পড়ে কলকাতাতেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।
হঠাত ফোন কেন?
নির্বাচনী প্রচার করতে আবার সোমবার সন্ধ্যাতেই শিলিগুড়ি পৌঁছন মমতা। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক রয়েছেন কি না সেটা জানতেই উদ্বেগ নিয়ে এই ফোন করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন জানতে পেরে আশ্বস্তও হন তিনি। কিছুক্ষণ আগেই ফোনালাপের বিষয়ে জানিয়ে টুইট করেন ধনখড়। লেখেন, "উত্তরবঙ্গে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ রয়েছেন কি না জানতে চেয়ে ফোনে কথা বলি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে শিলিগুড়িতে। উনি সুস্থ রয়েছেন জানতে পেরে আশ্বস্ত হলাম।"
দফায় দফায় কম্পন
উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পথে নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে। কলকাতাতেও অনুভূত হয় সেই মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে পশ্চিমবঙ্গে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ভরসন্ধ্যায় কম্পনের জেরে ভয়ে রাস্তায় নেমে শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেওয়া শুরু করেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জে। নেপাল এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতেও কম্পন টের পাওয়া যায়।