জগদ্ধাত্রী পুজো ২০২০: কোন কোন নির্দেশিকা জারি হল চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের জন্য
দুর্গাপুজো ঘিরে একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করেছিল রাজ্যসরকার। কেন্দ্রর তরফেও উৎসবের মরশুম ঘিরে বহু গাইডলাইন দেওয়া হয়। এবার এল বাংলার অন্যতম সাড়ম্বরে পালিত পুজো জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে রাজ্যসরকারের গাইডলাইন।

কোভিড পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগরের জন্য গাইডলাইন
এদিন প্রশাসনের তরফে সাফ বার্তায় জানানো হয়েছে, কোনও মতেই সারা দিন ঘুরে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রীর ঘট বিসর্জন করা যাবে না। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সেখানে এবার দুপুর ২ থেকে রাত ৯ টার মধ্যে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা সম্পন্ন করতে হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে।

চন্দননগরের জন্য নির্দেশিকা
সরকার জানিয়েছে অন্যান্য বছরের মতো চন্দননগরে ঘট বিসর্জন হবে না। এবারের ঘট বিসর্জনের প্রক্রিয়ায় কিছু বদল আনা হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরের নিয়ম বলছে, খোলামেলা প্যান্ডেল করতে হবে। মাস্ক আর স্যানিটাইটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। চন্দননগরে প্যান্ডেলের ১০ মিটার আগে থেকে ব্যারিকেড থাকবে।

চন্দননগরে যাঁরা পুজো দিতে চান...
রাজ্যসরকার জানিয়েছে, চন্দননগরের পুজোয়ে যাঁরা পুজো দিতে চান, তাঁদের আলাদা বন্দোবস্ত থাকবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর চন্দননগরের তেঁতুলতলার পুজোতে প্রবল ভক্তসমাগম দেখা যায়। যদিও গোটা চন্দননগরই ভিড়ে ঠাসা থাকে এই জগদ্ধাত্রী পুজর সময়, তবুও কিছু মণ্ডপে পুজো দেওয়ার হিড়িক প্রবল পরিমাণে থাকে। সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন। মণ্ডপের ভিতর কোনও বাজনা থাকবে না। সর্বোচ্চ ১০ জন ঢাকি থাকবেন।

মণ্ডপে কতজন একসঙ্গে?
এবার মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও প্রতিমা নিরঞ্জনে পুজো কমিটির বাইরের কেউ থাকবে না। শোভাযাত্রায় সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন একসঙ্গে। চন্দননগরে দুপুর ২ টো থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত হবে বিসর্জন। প্রতিটি পুজো কমিটির আলাদা সময় বেঁধে দেওয়া হবে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে চাঁদের আলোয় কেন পায়েস রাখা হয়! জানুন এর ফলে কী হয়
