সমাবর্তন বিভ্রাটের পর যাদবপুরের উপাচার্য, রেজিস্টারকে তলব ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের
সমাবর্তন বিভ্রাটের পর যাদবপুরের উপাচার্য, রেজিস্টারকে তলব ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের
ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে 'মেরুদণ্ডহীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। সমাজ সচেতনতা, সাধারণ জ্ঞান, তর্ক করার ক্ষমতা, ইতিহাস বোধ শূন্যতা, ছাত্র, কর্মী ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তাকে আচার্য পদ থেকে বরখাস্তেরও দাবি করেছেন পড়ুয়ারা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে লেখা একটি খোলা চিঠিও বর্তমানে সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যপাল-যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংঘাতের মধ্যেই এবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সহ সহ-উপাচার্য ও রেজিস্টারকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। আগামী ১৩ই জানুয়ারি রাজভবনে সেই বৈঠক হওয়ার কথা আছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এদিকে রাজ্যপালর তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকর যাতে ২৪শে ডিসেম্বরের সমাবর্তনের দিন ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে না পারে সে বিষয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল একাধিক ছাত্র সংগঠন। এই প্রসঙ্গে সোমবারের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে এলে ছাত্র ও কর্মী বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন রাজ্যপাল।
পরবর্তীকালে মঙ্গলবারও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলে তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল পরিচালিত কর্মচারী সংসদের সদস্যরা। পাশাপাশি ধনকরকে বয়কটের ডাকও দেওয়া হয় একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে। তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেট থেকেই ফিরে যেতে হয় আচার্যকে।
এরপরই আজ একটি টুইট বার্তায় রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি নাম না নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যপাল। যদিও গোপন সূত্রে খবর, এবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ছাত্র-কর্মী বিক্ষোভের মুখে পড়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের উপরও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। উপাচার্যকে নিশানা করে রাজ্যপাল ধনকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণরূপে 'রাজনীতিকরণ’ হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ছাত্র ও কর্মী বিক্ষোভ প্রতিহত করতে না পারার জন্য উপাচার্যকে পদত্যাগও করতে বলেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষক সংগঠন জুটা ও আবুটাকেও। পাশাপাশি অসমর্থিত সূত্রে খবর, বাবুল সুপ্রিয় কাণ্ডের পর দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব সংকটের মাঝে রাজ্যপালের ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যম নিয়ে বেশ কিছু অন্তর্দ্বন্দ্বের যাঁতাকলে পড়ে জুটা।