বাংলায় সিএএ কবে লাগু হবে, একুশের আগে স্পষ্ট ইঙ্গিত বিজেপির সভাপতি নাড্ডার
বাংলায় পা দিয়েই সিএএ নিয়ে সুর তুলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। করোনা মহামারীর মধ্যে সিএএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তায় তিনি বুঝিয়েই দিলেন, বাংলায় তারা সিএএ-কে অন্যতম ইস্যু করছেন।
বাংলায় পা দিয়েই সিএএ নিয়ে সুর তুলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। করোনা মহামারীর মধ্যে সিএএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তায় তিনি বুঝিয়েই দিলেন, যতই করোনার মহামারী চলুক, বাংলায় তারা সিএএ-কে অন্যতম ইস্যু করেই নির্বাচনে নামবে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনই হবে তাঁদের পরিবর্তনের হাতিয়ার।
মহামারীর কারণে বিলম্ব, সিএএ শীঘ্রই
নাড্ডা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সিএএ কার্যকরে বিলম্বিত হয়েছে। এই আইনটি শীঘ্রই কার্যকর করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উত্তরবঙ্গে সামাজিক গোষ্ঠীর এক সভায় পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেও একহাত নিয়েই তিনি সিএএ-সংক্রান্ত বার্তা দেন।
সিএএ লাগু নিয়ে কী বললেন নাড্ডার
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সিএএ নিয়ে বলেন, আপনারা সকলেই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সুবিধা পাবেন। এই আইন সংসদে পাস হয়েছে। আমরা এটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সিএএ বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে, শীঘ্রই কার্যকর করা হবে সিএএ।
বাংলায় এসেই হিন্দুত্বের তাস নাড্ডার
জেপি নাড্ডা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতি করেছে এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার হারানোর ভয়ে হিন্দুদের উপর আস্থা ফিরিয়ে জয়লাভের চেষ্টা করছেন। এ সবই ভোট-ব্যাংক রাজনীতির জন্য করা হচ্ছে।
একুশের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা নাড্ডার
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় স্কিমগুলি ব্লক করছে বলে অভিযোগ করে নাড্ডা বলেন, "মমতা দিদি শুধু বলেন হবে না-হবে না। আজ আমি বলতে চাই হবে-হবে। কেবল এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেলেই বাংলার কোটি কোটি কৃষক ও দরিদ্র মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা সুবিধা পাবেন। আমরা ক্ষমতায় এসে এই সুবিধা দেব, কোনও প্রকল্পগুলি থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না।
তৃণমূল বিভাজন করে, বিজেপির বিকাশ
নাড্ডার অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে তিনি বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করেছেন। তৃণমূল মোটেও বিজেপির মতো নয়। বিজেপি সকলের বিকাশের জন্য কাজ করে। আর তৃণমূল কাজ করে শুধু নিজের বিকাশের জন্য। তাই এবার এই তৃণমূল সরকারকে পরিবর্তন করা দরকার।