সংযম হারাচ্ছেন মানে আপনি হারছেন! মমতাকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির
আপনি সংযম হারাচ্ছেন কেন? কীসের চাপ আপনার। বারবার এভাবে সংযম হারানো মানে আপনি হারছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।
রাত পোহালেই হাইভোল্টেজ ভোট! গোটা দেশের নজর থাকবে নন্দীগ্রামের উপর। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। লড়াইয়ের ময়দানে নামার আগে ফের বাংলায় আসলেন অমিত শাহ।
শুধু আসলেন না, নেত্রীর উদ্দেশ্যে কার্যত অমিত শাহের বার্তা, আপনি হারছেন নন্দীগ্রামে! অন্যদিকে একাধিক ইস্যুতে এদিন নরমে গরমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
সংযম হারাচ্ছেন মমতা!
এদিন জে পি নাড্ডা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে রোড শো করেন। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, দিদি নন্দীগ্রামে হারছেন। মানুষ যখন নিজের মধ্যে থাকা সংযম হারিয়ে ফেলে তখন স্পষ্ট যে দিদি হারছেন। বাংলায় পরিবর্তন আসছে বলেও দাবি নাড্ডার।
বড় নেতা তো শুভেন্দু!
ধনেখালির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় শুভেন্দুকে বড় নেতা বলে উল্লেখ করেন নাড্ডা। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, শুভেন্দুকে আটকাতে আপনাকেই নন্দীগ্রাম যেতে হল, তাহলে বড় নেতা কে? মুখ্যমন্ত্রী যদি কারও আসনে লড়তে যান, তাহলে বড় নেতা কে হল? আপনার আসনে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে লড়তে আসতে হয়, তাহলে বড় নেতা কে?'' ধনেখালির সভায় জেপি নাড্ডা এদিন আরও বলেন, "প্রথম দফায় প্রায় ৭৯ শতাংশ ভোট হয়েছে। বাংলার মতো রাজ্যে যেখানে মমতা দিদি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিলেন, তৃণমূল আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিল, সেখানে ৭৯ শতাংশ ভোট মানুষ দিয়েছে। যার অর্থ বাংলার মানুষ দৃঢ় সংকল্প যে তৃণমূল হারছেই।''
নাড্ডার কথায় শোভা মজুমদারের প্রসঙ্গ
এদিন বাংলায় এসে বিজেপি কর্মীর মায়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন জে পি নাড্ডা। বলেন, বলেন, মমতা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন। অথচ, শোভা মজুমদারের সঙ্গে যা হল তা নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেনি। মায়ের কী অবস্থা বাংলায়! আইনের শাসন নেই বাংলায়। একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বিজেপির ১৩০ কর্মী খুন হয়েছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়েছে, তার বদলে কাটমানি, তোলবাজি, তোষণে মদত দিয়েছে তৃণমূল। মহিলাদের উপর অত্যাচারে দেশে শীর্ষে বাংলা, কামদুনি-পার্ক স্ট্রিট, জলপাইগুড়ির ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, মমতার জমানায় বাংলার মা-বোনেদের কী অবস্থা দেখুন।
আসল পরিবর্তন দেখবে বাংলা
ভোটের প্রচারে ধনেখালির জনসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার। তাঁর দাবি, এই নির্বাচন আসল পরিবর্তনের জন্য। প্রথম দফার তৃণমূলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে ৮৯ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।এর থেকেই বোঝা যায় মানুষ পরিবর্তন চায়।'। তাঁর দাবি, এই নির্বাচনে সাফ হবে তৃণমূল। যদিও প্রথম দিন থেকেই এবার পরিবর্তনের পরিবর্তনের ডাক দেন বিজেপি নেতৃত্ব। সোনার বাংলা তৈরি হবে বলে দাবি। এদিন ফের একবার সেই বিষয়টি শোনা যায় নাড্ডার কথাতে।
মমতার বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ
ধনেখালির সভা থেকে আরও একবার মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি নিয়ে মুখ খোলেন নাড্ডা। তাঁর কটাক্ষ,"আপনি মহরম পালন করুন, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিন বাংলায় কারফিউ কেন? অযোধ্যায় রাম মন্দির হওয়া উচিত কিনা? তাহলে বাংলায় কারফিউ কেন? দুর্গাপূজার বিসর্জনে বাধা দেওয়া হয় কেন? সরস্বতী পূজায় বাধা কেন দেওয়া হয়? বিজেপি সভাপতি বলছেন, "এই নির্বাচনে উন্নয়নের নতুন কাহিনী লেখা হবে। এই নির্বাচনে নতুন উদ্যোগে আসল পরিবর্তন আনার নির্বাচন। এটা গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর ভোট, এটা কৃষকদের সমৃদ্ধি আনার ভোট, যুবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের ভোট, পরিবর্তনের ভোট, সোনার বাংলা গড়ার ভোট।ওঁরা মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, এবার সময় এসেছে আপনারা ওঁদের শিক্ষা দিন, এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার বানান।"