তৃণমূল মোটেও বিজেপির মতো নয়! প্রতিশ্রুতির বন্যায় উদাহারণ দিয়ে বোঝালেন নাড্ডা
করোনা মহামারীজনিত কারণে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর করা বিলম্বিত হয়েছে। এই আইনটি শীঘ্রই কার্যকর করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উত্তরবঙ্গে সামাজিক গোষ্ঠীর এক সভায় পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেও একহাত নেন তিনি।

তৃণমূল মোটেও বিজেপির মতো নয়
নাড্ডার অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে তিনি বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করেছেন। তৃণমূল মোটেও বিজেপির মতো নয়। বিজেপি সকলের বিকাশের জন্য কাজ করে। আর তৃণমূল কাজ করে শুধু নিজের বিকাশের জন্য। তাই এবার এই তৃণমূল সরকারকে পরিবর্তন করা দরকার।

সিএএ নিয়েও স্পষ্ট বার্তা নাড্ডার
বিজেপি সভাপতি সিএএ নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন। তিনি বলেন, আপনারা সকলেই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সুবিধা পাবেন। এটি সংসদে পাস হয়েছে। আমরা এটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সিএএ বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে, শীঘ্রই কার্যকর করা হবে সিএএ।

বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতি করেছে সরকার
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে নাড্ডার মত। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতি করেছে এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার হারানোর ভয়ে হিন্দুদের উপর আস্থা ফিরিয়ে জয়লাভের চেষ্টা করছেন। এ সবই ভোট-ব্যাংক রাজনীতির জন্য করা হচ্ছে।

শাসন কায়েম করতে চান মমতা
জেপি নাড্ডা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজন এবং শাসন নীতিতে বিশ্বাসী। কারণ তাঁর সরকার জনগণের সেবা করতে চায় না। যে কোনও উপায়ে শাসন কায়েম করতে চায়। টিএমসি বিভাজন ও শাসনে বিশ্বাস করে এবং বিজেপি ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী, সকলের বিকাশে বিশ্বাসী।

বাংলায় এসে প্রতিশ্রুতির বন্যা নাড্ডার
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় স্কিমগুলি ব্লক করছে বলে অভিযোগ করে নাড্ডা বলেন, "মমতা দিদি শুধু বলেন হবে না-হবে না। আজ আমি বলতে চাই হবে-হবে। কেবল এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেলেই বাংলার কোটি কোটি কৃষক ও দরিদ্র মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা সুবিধা পাবেন। আমরা ক্ষমতায় এসে এই সুবিধা দেব, কোনও প্রকল্পগুলি থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না।

বাংলার মানুষ বিরক্ত মমতার সরকারের প্রতি
নাড্ডা আরও বলেন, তৃণমূল সরকার হিংসা এবং কাটমানি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আর রাজ্যবাসী এই সরকারের উপর বিরক্ত। ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী সরকার গঠন করবে। সেই লক্ষ্যেই এদিন সাংগঠনিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে নাড্ডা উত্তরবঙ্গে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এবং সামাজিক ও ধর্মীয় দলগুলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

জল গড়িয়ে ছিল রাজভবন অবধি! অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর জামিনে মুক্ত বলবিন্দর সিং