মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বড় ভাঙন, হাজার হাজার বিজেপি কর্মীর যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসে
আগামী ৩ ও ৪ মার্চ উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে বড় সংখ্যায় বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে।
আগামী ৩ ও ৪ মার্চ উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে বড় সংখ্যায় বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। রবিবার তাদের হাতে পতাকা তুল দেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ। তৃণমূলে যোগ দেওয়াদের তালিকায় ছিলেন কংগ্রেস এবং বাম কর্মীরাও। দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
ঘটনাস্থল বালুরঘাটের সাহেব কাছারি এলাকার উৎসব ভবন। এদিন এই জায়গায় দলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুল নেন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা। সেই তালিকায় ছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক মিঠু মহান্ত, শ্রমিক সংগঠনের নেতা শ্যামসুন্দর সাহাও। তৃণমূলের দাবি, এদিন প্রায় ৪ হাজার কর্মী সমর্থক দলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলের অনুষ্ঠানে বিজেপির স্লোগান
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দলবদল পর্ব শেষে বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন মিঠু মহান্ত এবং শ্যামসুন্দর সাহা। সেখানেই যত বিপত্তি। দল ছাড়লেও, পুরনো দলের স্লোগান তারা ভুলতে পারেননি। মিঠু মহান্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে গৈরিক অবিনন্দন জানান। অন্যদিকে শ্যামসুন্দর সাহা নিজের বক্তব্যের শেষে বিজেপির স্লোগান দেন বলে জানা গিয়েছে। যদি সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ক্ষমাও চেয়ে নেন। যদিও ততক্ষণে মঞ্চের নিচে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মদ্যে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির দাবি
জেলা বিজেপি একাধিক পদাধিকারি এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যা নিয়ে বিজেপিতে শোরগোলও পড়ে গিয়েছে। এসম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, দলে তোলাবাজি এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়াতেই ওই নেতারা দলবদল করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর
উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পরপর ২ দিন ২ সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। ৩ মার্চ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে তিনি সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। পরের দিন আকাশপথে যাবে দক্ষিণ দিনাদপুরের বুনিয়াদপুরে। সেখানেও কর্মী সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই সভায় লক্ষাধিক মানুষ আসবেন।