সংসদে তিন তালাক বিল পেশ হলেও, ইসরাতকে নিয়ে 'ধন্দ' বিজেপির অন্দরমহলে
ইসরাত জাহানকে নিয়ে ধন্ধ বিজেপিতে। শনিবার ইসরাতের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন হাওড়ার বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় পরে জানান, ইসরাত বিজেপিতে যোগ দেননি।
ইসরাত জাহানকে নিয়ে ধন্ধ বিজেপিতে। শনিবার ইসরাতের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন হাওড়ার বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। যদিও বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় পরে জানান, ইসরাত বিজেপিতে যোগ দেননি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে আদালতে অন্যতম মামলাকারী ইসরাত জাহানের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিচ্ছেন হাওড়ার বিজেপি মোর্চার মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। শনিবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে বিজেপির মহিলা মোর্চার অফিসে জেলা মহিলা মোর্চার নেত্রী দুর্গাবতী সিং ইসরাত জাহানের-এর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইসরাতকে সংবর্ধনা দেওয়া হলেও, তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। সূত্রের খবর, ইসরাত রাজি থাকলেও, বিজেপি এখনই তাঁকে দলে নিতে চাইছে না।
১৪ বছর বয়সে ২০০১ সালে বিহারের বাসিন্দা মুর্তাজাকে বিয়ে করেন ইসরাত। পরবর্তী সময় তাঁরা চলে আসেন হাওড়ার পিলখানায়। অভিযোগ, ২০১৫ সালে একদিন ফোনেই ইসরাতকে তিন তালাক দেন মুর্তাজা। এরপর মুর্তাজা অপর একটি বিয়েও করেন। ঘটনার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হন ইসরাত জাহান। এমন কী সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাকের বিরুদ্ধে যে পাঁচ মুসলিম মহিলা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাওড়ার ইসরাত জাহানও। এরপর থানায় একাধিকবার তাঁর ওপরে হামলা কিংবা হুমকির অভিযোগ করেছেন ইসরাত। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরে সামাজিক বয়কটেরও অভিযোগ করেছিলেন ইসরাত। তবুও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।