ভোটের মাঝেই সংযুক্ত মোর্চায় 'চিড়', আব্বাসের বাক্যবাণে বিদ্ধ জোটসঙ্গী কংগ্রেস
পশ্চিমবঙ্গের ভোট পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ আগে থেকে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করতে করতে দুই দফার ভোট গ্রহণ পার করে দিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল। কিছুটা মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে চেয়েছে বামেরাও। নন্দীগ্রামে বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের প্রচারে গিয়েছেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। তবে প্রচারের আলো থেকে যেন বহু হস্ত দূরে কংগ্রেস।
কোনও হাইপ্রোফাইল কংগ্রেস নেতাকেই রাজ্যে দেখা যায়নি
প্রতিবেশী রাজ্যে অসমেও ভোট পর্ব শুরু হয়েছে বাংলারই সাথে। এই আবহে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা বারংবার গিয়েছেন সেরাজ্যে। তবে বাংলায় এখনও পর্যন্ত একবারও পা রাখেননি কংগ্রেসের কোনও বড় নেতা। শুধুমাত্র ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে কংগ্রেসের তরফে রাজ্যে এসেছিলেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তবে তারপর প্রচারে কোনও হাইপ্রোফাইল কংগ্রেস নেতাকেই রাজ্যে দেখা যায়নি।
কংগ্রেসকে খোঁচা আব্বাসের
রাজ্যে কংগ্রেসের একমাত্র হাইপ্রোফাইল প্রচারক যেন রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁকে ছাড়া কোনও 'বড় নেতা'কেই প্রচারের ময়দানে নামাতে পারেনি কংগ্রেস। আর এই বিষয়টিকে নিয়েই এবার হাত শিবিরকে খোঁচা দিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। একটি প্রচার সভায় আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, 'এটা খুব দুঃখের যে প্রচারে কংগ্রেসকে দেখা যাচ্ছে না। আমি জানি না কেন কংগ্রেস আমাদের প্রচারে এখানে আসছে না। একমাত্র তারাই এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গে কিন্তু আমরা কংগ্রেসকে সব জায়গায় সমর্থন জানিয়েছি।'
বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস?
একদিকে বিজেপির তরফে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ছাড়াও একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা বঙ্গে আসছেন মুহুর্মুহু। অসম সফরে এলেও মোদী-শাহ বাংলায় কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসেন সেদিনই। তবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা সেই পথে হাঁটেননি। কংগ্রেস যেভাবে কেরল-তামিলনাড়ু-অসমকে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার সিকিভাগ গুরুত্বও বাংলাকে দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে আব্বাসের সন্দেহ প্রকাশ যে একেবারে ভিত্তিহীন নয়, তা বলছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই।
'বিজেপির কাছে ইস্যু নেই'
আব্বাস সিদ্দিকি এদিন বলেন, 'কোনও দল যদি বদরুদ্দিন আজমল বা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ে, তাতে ভুলের কি আছে? আমরা তো এই দেশকে লুঠ করিনি। বিজেপির এতে কী বলার থাকতে পারে? এই দেশটিতো কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। বিজেপি যেটা বলবে সেটাই হবে, এমন তো সম্ভব নয়। বিজেপির কাছে অন্য কোনও ইস্যু নেই, তাই তারা প্রচার সভায় উত্তেজনাপূর্ণ মন্তব্য করে। তাদের কেউ চাকরির বিষয় জিজ্ঞাসা করলে, বিজেপি পাকিস্তান তৈরির প্রসঙ্গ টেনে আনবে।'
'বাংলায় বিজেপিকে এনেছে তৃণমূল'
পাশাপাশি বঙ্গে বিজেপির উত্থানের জন্য ফের একবার তৃণমূলকে দুষলেন আব্বাস সিদ্দিকি। এদিন তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস দূর্গাপুজো বন্ধ করার মাধ্যমে রাজ্যে বিজেপিকে আনিয়েছে। ১৯৯৮ সালে মমতা নিজে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন যে বিজেপিত তাঁর বন্ধু এবং বিজেপি অচ্ছুত নয়।'