জেল হেফাজতে কি আদৌ নিরাপদ সুদীপ্ত সেন, উঠছে প্রশ্ন
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তার পর থেকে তাঁর ঠিকানা হয়েছে কখনও পুলিশ হেফাজত, কখনও আবার জেল হেফাজত। চলতি বছরের ৯ মে সিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁকে কিছুদিন হেফাজতে নিয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন জেল হেফাজতেই আছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সারদা-কাণ্ডে শাসক দলের রাজ্যসভার সাংসদের বাড়িতে হানা দেবে সিবিআই
হঠাৎ কেন সুদীপ্ত সেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুদীপ্ত সেনকে খুব অল্প সময়ের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তখন কিছু বিস্ফোরক তথ্য তিনি দিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রজত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার প্রমুখকে নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া শুরু হয়েছে। এমনকী, গতকাল সিবিআই গ্রেফতার করেছে দেবব্রত সরকার ওরফে নীতুকে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক রাজ্যসভার সাংসদের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে সিবিআই।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আবার সুদীপ্ত সেনকে হেফাজতে নিতে চায় বলে খবর। ফের তিনি সিবিআই হেফাজতে এলে আর কী কী বলবেন, কোন কোন রাঘববোয়ালদের নাম ফাঁস করবেন, সেই ভয়ে কাঁটা অনেকে। বিশেষ করে তিনি যতদিন বলছিলেন, রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা আছে, ততদিন সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে ভয় ছিল না। কিন্তু এখন যখন সংবাদমাধ্যমের সামনে বলছেন, "আমি সিবিআই হেফাজতে যেতে চাই, আরও অনেক কিছু বলার আছে", তখন চিন্তার বিষয় বৈকি! মঙ্গলবার সিউড়ি আদালতের বাইরে মিডিয়াকে এমন কথা বলার পর বুধবার সন্ধেবেলা তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়াটা কতটা স্বাভাবিক, উঠছে প্রশ্ন।
কী হয়েছে সুদীপ্ত সেনের? জেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, সুদীপ্তবাবুর রক্তচাপ অনেকটাই কম। মাথা ঘোরার সমস্যা রয়েছে। ডাক্তাররা পর্যবেক্ষণে রেখেছন তাঁকে।
সুদীপ্ত সেনকে জেল হেফাজতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে এ দিন দুপুরে আলিপুর আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। তাদের হাতে ছিল পোস্টার। কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, জেলে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে সুদীপ্ত সেনের ওপর।