শোভনের মতো ‘বিশ্রামে’ থাকা নেতার সংখ্যা বাড়ছে বিজেপিতে! একুশের আগে জল্পনা
২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে বিশ্রামে পাঠানো নেতার সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে রাহুল সিনহার গুরুত্ব খর্ব করা হয়েছে। তাঁকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে বিশ্রামে পাঠানো নেতার সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে রাহুল সিনহার গুরুত্ব খর্ব করা হয়েছে। তাঁকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নেতা অনুপম হাজরা। এই বিতর্কেই রাহুল গর্জে উঠতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিজেপিতে।
রাহুল সিনহার সিদ্ধান্তহীনতা, জল্পনা তুঙ্গে
রাহুল সিনহা এই অপসারণকে অপমান মনে করে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ১০-১২ দিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন বলে বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু যো কোনও কারণেই হোক তিন সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এর মধ্যে শুক্রবার রাহুল জানিয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা তাঁকে ফোন করেছিলেন।
নবান্ন অভিযানের দিন বাড়িতে বিশ্রামে রাহুল
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল সিনহা অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন এমন কোনও বার্তা দেননি। বরং তিনি জানিয়েছেন তিনি বিজেপিতে এখন বিশ্রামে রয়েছেন। ৪০ বছর তিনি সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। এখন কেন্দ্রীয় বিজেপির সিদ্ধান্তে তিনি পদহীন। এবং একপ্রকার বিশ্রামে। কারণ বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন তিনি বাড়িতে বিশ্রামেই ছিলেন।
শোভন যেমন সক্রিয় হলেন না বিজেপিতে!
একইভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েও ১ বছর ২ মাস অন্তরালে রয়ে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিজেপিতে গিয়ে সক্রিয় হননি। আজ পর্যন্ত বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে আত্মপ্রকাশ করেননি। ক্ষণে ক্ষণেই তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা চলেছে। কখনও তৃণমূলে, কখনও বিজেপির দিকে টার্ন নিয়েছেন শোভন। এখন বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েও রয়ে গিয়েছেন অন্তরালে।
শোভনের মতো অবস্থা না হয় রাহুল সিনহার!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো অবস্থাই না হয় রাহুল সিনহার। তিনিও বিজেপি থেকে দূরত্ব বজায় করছেন। অথচ কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারলেন না এখনও। কিছুদিন আগেও বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির ত্রয়ীর মধ্যে একজন ছিলেন রাহুল। হঠাৎই তিনি বিশ্রামে চলে গেলেন। তাই জল্পনা তো চলবেই!