আরামবাগে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান অসময়ে বন্ধ হওয়া নিয়ে অভিযোগ
সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। ঘটনা আরামবাগ হাসপাতালের মধ্যে। ফলে জরুরী প্রয়োজনেও মিলছে না ওষুধ। হন্যে হয়ে ওষুধের জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। যদিও বা অন্যত্রে মিলছে, তাও আবার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের থেকে দ্বিগুণ দাম। এমনই অভিযোগ উঠল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, গত কয়েক দিনে হুগলির আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের চিত্রটা এমনই ধরা পরেছে। সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে চরম বিপাকে পরেছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। এমনিতেই করোনা আবহে সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আরামবাগ বাজারে অধিকাংশ ওষুধের দোকান। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী সহ জরুরী প্রয়োজনে একমাত্র ভরসা সেই হাসপাতাল চত্বরে থাকা ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। কিন্তু তাও আবার বন্ধ রাখার অভিযোগ।
যার ফলে ওষুধের জন্য রোগীর আত্মীয়দের আরামবাগ শহরে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। রাত্রের দিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনো রোগীর ঔষধ প্রয়োজন হলে তাও মিলছে না রোগীর আত্মীয়কে দেখা যায় ওষুধের জন্য গোটা শহর হন্যে হয়ে ঘুরতে।
আরও অভিযোগ, ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখার কথা থাকলেও কিন্তু আরামবাগে বন্ধ। ফলে অন্যত্র ওষুধ কিনতে গিয়ে দিতে হচ্ছে বেশি টাকা।
অন্যদিকে হাসপাতালের সংলগ্ন অন্যান্য ওষুধ দোকান দারেরা জানান, আগে পালা করে রাতে জরুরী পরিষেবার জন্য কিছু দোকান খোলা রাখা হলেও ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান হওয়ার পর থেকে রাতে বন্ধ রাখা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা আবহে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান রাতে বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পরছেন সাধারন মানুষ।
যদিও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ভার প্রাপ্ত সুপার তথা হুগলি জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ দত্ত ক্যামেরার সামনে বলতে না চাইলেও তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেও বন্ধ রাখা হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবেন।